জলপাইগুড়ি: প্রাক প্রাথমিকের পড়ুয়ারা ক্লাসে মারামারি করছে। ছোটাছুটি করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে জখম হচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই। গরহাজির শিক্ষক। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রায়ই এমনটা হয়ে থাকে জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম নামী সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
অভিযোগ, খাতায় কলমে স্কুলে ৩১ জন শিক্ষক থাকলেও সাকুল্যে ১০ জনও রোজ হাজির থাকেন না। এই প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ন'শোর বেশি। ফলে শিক্ষক হাজির না থাকায় পড়াশোনা কার্যত লাটে ওঠে। ক্লাসে পড়ুয়ারা মারামারি, দৌড়ঝাঁপ করে। স্কুলের জানালা দিয়ে বেশ কয়েকদিন এমন দৃশ্য দেখার পর এদিন প্রতিবাদে সরব হন অভিভাবকদের একাংশ। স্কুলে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কেন বেশিরভাগ শিক্ষক স্কুলে গরহাজির থাকেন, তা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কৈফিয়ত চান তাঁরা।
চাপের মুখে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম আগামী কাল অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানান। তাঁর দাবি, প্রাক প্রাথমিকের ক্লাসে দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। একজন এদিন রক্ত পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন। ফলে দেরি করে ঢুকেছেন। অন্য যে শিক্ষিকা রয়েছেন, তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেকারণে তিনি এদিন স্কুলে আসতে পারেননি। প্রধান শিক্ষকের অবশ্য দাবি, প্রাক প্রাথমিকের ক্লাসে পরে শিক্ষক পাঠানো হয়েছিল। পড়ুয়াদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার প্রতি তাঁরা যথেষ্টই নজর দেন। অভিভাবকরা যে অভিযোগ করছেন তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন