আহমেদাবাদ: ভয়াবহ বিমান বিপর্যয়। বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া তাপে ঝলসে গিয়েছে অধিকাংশ দেহ। শ’তিনেক মৃতের মধ্যে মাত্র ৮ জনের দেহ শনাক্ত করতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা। এই পরিস্থতিতে দ্রুত দেহ পরিবারগুলির হাতে তুলে ধরতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে ডিএনএ প্রোফাইলিং-এর কাজ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২৭০টি দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। যাদের অধিকাংশেরই ডিএনএ প্রোফাইলিং হবে। অ্যাডিশনাল সিভিল সুপার ডা. রজনীশ প্যাটেল জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত ডিএনএ প্রোফাইলিং-এর মাধ্যমে ১১টি দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। নিহতদের পরিজনদের দেহ সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।’
গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি জানিয়েছেন, দেহ শনাক্তের জন্য গুজরাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের আহমেদাবাদে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফেও বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে পাঠানো হয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গোটা দিন ধরে ডিএনএ প্রোফাইলিং-এর কাজ চলছে। ডিএনএ ম্যাচ হলেই পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা সিভিল হাসপাতাল থেকে দেহ সংগ্রহ করতে পারবেন। ’ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ২২০ জন নিহতের আত্মীয় ডিএনএ প্রোফাইলিং-র জন্য নমুনা দিতে চেয়েছেন। সেই নমুনা সংগ্রহ করতে পরিজনদের বিজে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ডিএনএ প্রোফাইলিং করে আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন