তেহরান: ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাতের জেরে অগ্নিগর্ভ মধ্য এশিয়া। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে ক্রমশ বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। এই আবহে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশকে সাহায্য বন্ধ না করলে এই অঞ্চলে ব্রিটেন, আমেরিকা ও ফ্রান্সের ঘাঁটিতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে তেহরান। যার ফলে ক্রমশ বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইরানের প্রতিরক্ষা ও পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। টার্গেট করা হয় একাধিক পরমাণু কেন্দ্র ও সেনাঘাঁটিকে। যার পোশাকি নাম ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। শুক্রবার পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইরানও। এর পর থেকে দফায় দফায় একে অন্যের দিকে আকাশপথে আক্রমণ চালাতে থাকে। তেহরান, তেল আভিভ এবং জেরুজালেম থেকে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারের ইজরায়েলি হানায় ইরানে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩২০ জনের বেশি। ক্ষতি হয়েছে পরমাণু কেন্দ্রেরও। ইরানের পাল্টা হানায় চার ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। ক্ষেপণাস্ত্র হানা অবিলম্বে বন্ধ না হলে ইরানকে তছনছ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই পথে কোনও জাহাজ চলতে পারবে না বলে জানিয়েছে তারা।
হরমুজ প্রণালী বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ। এটি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। প্রণালীটির প্রস্থ খুব বেশি নয়। কিন্তু সংকীর্ণ এই চ্যানেল দিয়েই প্রতিদিন বিশ্বের মোট সমুদ্রপথে পরিবাহিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ পরিবহণ করা হয়। যে কারণে এই জলপথ বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন