কলকাতা: ‘আমরা পরীক্ষা দিতে চাই না। রিসিলেকশন চাই’—এই মর্মে লেখা চাকরিহারা শিক্ষকদের চিঠিই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের রিভিউ পিটিশনে হতে পারে বড় হাতিয়ার। চাকরিহারা শিক্ষকরা তো বটেই, সরকার পক্ষের একাংশও তা মনে করছে। চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফে ইতিমধ্যেই হাজারখানেক চিঠি বিকাশ ভবনে জমা দেওয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে রীতিমতো কাউন্টার খুলে সেই
চিঠি জমা নিতে শুরু করেছিল শিক্ষাদপ্তর। যদিও, চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবি, সব চিঠি দপ্তর গ্রহণ করেনি। তবে, আন্দোলনরত যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চে ইতিমধ্যেই চার-পাঁচ হাজার চিঠি জমা পড়েছে। নিজেদের দাবি জোরালো করতে তাঁরা ফের সোমবার রাজ্যজুড়ে ডিআই অফিসগুলিতে অভিযান করবেন। এর আগে, দক্ষিণ কলকাতার কসবা ডিআই অফিসে আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার হয়। শিক্ষকদের পেটানোর অভিযোগে পুলিস তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বিরোধীরা।
আন্দোলনকারীদের মতে, এত হাজার শিক্ষক যে পরীক্ষায় বসতে চাইছেন না, এই বিষয়টা বিচারপতিদের কাছে গুরুত্ব পেতে পারে। কারণ, মূলত তাঁদেরই পুনর্নিয়োগ দেওয়ার জন্য দেশের শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলেছিল। এখনও চাকরিহারাদের বক্তব্য, সঠিকভাবে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করে আদালতকে দেওয়া হলে, তার ভিত্তিতেই পুনর্নিয়োগ দিতে পারে কোর্ট। সেখানে পরীক্ষা আবশ্যিক শর্ত থাকবে না। শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা অবশ্য এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে, অন্দরের খবর, এই চিঠি রক্ষাকবচ হতে পারে সরকারেরও। সুপ্রিম কোর্টে সরকার দেখাতে পারবে, পোর্টাল খুলে শিক্ষকদের আবেদন নেওয়া শুরু হলেও তাঁরা তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করলেও তা যে শিক্ষকদের বিরোধিতার কারণেই ফলপ্রসূ হচ্ছে না, সেটাও সুপ্রিম কোর্টকে বোঝানো যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন