কলকাতা: ২০১৬ সালে হলদিয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনকাণ্ডে আসামির ফাঁসির সাজা মকুব করল কলকাতা হাইকোর্ট। পরিবর্তে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
পূর্ব মেদিনীপুরে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের অস্থীয় কর্মী শ্রীমন্ত তুঙ্গর বাড়িতে কাজ করত বছর চোদ্দোর এক নাবালিকা। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের দেখভাল করতে শ্রীমন্তের বাড়িতে কাজ করত ওই নাবালিকা। ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট মেয়েটির মামাকে ফোন করে শ্রীমন্ত জানায়, তাঁর ভাগ্নি অসুস্থ। ফোন পেয়েই শ্রীমন্তের বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন সেখানে কেউ নেই। শৌচাগারে তাঁর ভাগ্নির দগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে।
পরবর্তীতে পুলিস তদন্ত শুরু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়, নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে উঠে আসে তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য কেরোসিন ঢেলে মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে গ্রেপ্তার হয় শ্রীমন্ত।
২০১৮ সালে বছর পঞ্চাশের শ্রীমন্তকে ধর্ষণ, খুন, প্রমাণ লোপাট-সহ পকসো আইনের ৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শ্রীমন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, অপরাধ খুবই গুরুতর। আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণও খুবই শক্তিশালী। যদিও ঘটনাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম মনে করছে না
উচ্চ আদালত। তাই শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে নিঃশর্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আসামির বয়স এখন ৫৮ বছর। কারাবাসের সময় তাঁর মেয়াদ কমানো বা প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন