আমেদাবাদ: সবে দুপুরের খাবার খেতে বসেছিল পড়ুয়ারা। হঠাৎই মেডিক্যাল কলেজের ছাদে আছড়ে পড়ল বিমান। ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপ মেঘানিনগর। ১২ জুন ভয়াবহ বিমান বিপর্যয়ের কথা মনে করলে এখনও শিউড়ে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকল ও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজে হাত লাগান তারাই। কিন্তু এই ধরনের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বহু সময়ই দেখা যায় ঘটনাস্থল থেকে নিহত ও আহতদের মূল্যবান জিনিস বাড়ি নিয়ে যান অনেকে। কিন্তু আমেদাবাদের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। তারও কৃতিত্ব স্থানীয় বাসিন্দাদেরই।
দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজের জন্য যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা রাজু প্যাটেল (৫৬) জানিয়েছেন, ‘প্রথম ১৫-২০ মিনিট আগুন ও প্রবল তাপের কারণে আমরা কাছাকাছি যেতে পারিনি। দমকল ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমরাও উদ্ধার কাজে নেমে পড়ি। স্ট্রেচারের অভাব থাকায় বিছানার চাদর, শাড়ি ব্যবহার করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিই আহত ও নিহতদের।’ পাশাপাশি রাজু জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজের পুরোপুরি দায়িত্ব নিলে তাঁরা ধ্বংসাবশেষ থেকে মূল্যবান জিনিস সংগ্রহ শুরু করেন। চারিদিকে যাত্রীদের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। সেখান থেকে মোট ৭০ ভরি সোনা, ৮০ হাজার টাকা নগদ, পাসপোর্ট, একটি গীতা সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করে রাজু ও তাঁর সহযোগীরা। সব কিছুই প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজু। গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হরিশ সাংভি জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সব সামগ্রী নিহতদের পরিজনদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রাজু প্যাটেল। ২০০৮ সালে আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের সময়ও একইভাবে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করেছিলেন রাজু। ১২ জুন বিমান দুর্ঘটনার দিন রাত ৯টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন রাজু ও তাঁর সঙ্গীরা। জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন