বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ছাড়া এবার রান্নার গ্যাস ডেলিভারি বন্ধ - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ছাড়া এবার রান্নার গ্যাস ডেলিভারি বন্ধ



বর্ধমান: বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ছাড়া রান্নার গ্যাস ডেলিভারি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। আগাম কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। অনেকেই বুকিং করা সত্ত্বেও গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি করা হচ্ছে না। বায়োমেট্রিক করার পরই সিলিন্ডার পাওয়া যাবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাঁদের নামেই গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। তাঁরা বায়োমেট্রিক দিতে আসতে না পারায় পরিবারের লোকজন সমস্যায় পড়েছেন। গ্যাস সংস্থাগুলির দাবি, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করার জন্য গ্রাহকদের প্রায় এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। ডিলাররা তাঁদের সচেতন করেছেন। কিন্তু তারপরও অনেকেই আগ্রহ দেখাননি। তাছাড়া অ্যাপের মাধ্যমেও বায়োমেট্রিক করা যায়। সেক্ষেত্রে বাইরে থাকলেও কোনও সমস্যা নেই।

এদিন বর্ধমান শহরের খোসবাগানে সিলিন্ডার নিতে আসা এক গ্রাহক বলেন, মোবাইলে বায়োমেট্রিক করার জন্য নোটিস পাইনি। কবে শেষদিন রয়েছে সেটাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। স্বামী বাইরে থাকে। ওঁর নামেই গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এখন ছুটি নিয়ে কীভাবে আসবে? বুকিং করা সত্ত্বেও ডেলিভারি করা হচ্ছে না। গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়া একদিনও চলবে না। রান্না বন্ধ হয়ে যাবে। আর এক গ্রাহক কৃষ্ণ দাস বলেন, বুকিং বাতিল করার আগে নোটিস দেওয়া উচিত ছিল। বায়োমেট্রিক করা বাধ্যতামূলক এটা কখনোই বলা হয়নি। 

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, সম্প্রতি উজ্জ্বলা গ্যাসের সংযোগ নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। বহু উপভোক্তা সিলিন্ডার তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন। অথচ তাঁদের অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা যাচ্ছে। বায়োমেট্রিক করা হলে বোঝা যাবে প্রকৃত উপভোক্তার সংখ্যা। অনেকেরই নামে গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। তাঁরা নিজেরা সিলিন্ডার ব্যবহার করে না। বায়োমেট্রিক চালু হয়ে গেলে ভুয়ো উপভোক্তা থাকবে না। তিনি আরও বলেন, যে কোনও ডিলারের অফিসে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বায়োমেট্রিক হয়ে যাবে। উপভোক্তাদের বিষয়টিতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। গ্রাহকদের অনেকেই বলছেন, অ্যাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক করা যথেষ্ট ঝক্কির। বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তা হচ্ছে না। অনেকের বাড়িতে ‘ডাবল গ্যাস সিলিন্ডার নেই। হঠাৎ করে সিলিন্ডার পাওয়া না গেলে তাঁরা সমস্যা পড়বেন। শহরের বাসিন্দারা রান্নার জন্য গ্যাসের উপরই নির্ভরশীল। অনেকের বাড়িতে বিকল্প ব্যবস্থা থাকে না। বুকিং বাতিল করার আগে বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে লাগাতার প্রচার করা দরকার। নিদেনপক্ষে অফিসগুলিতে নোটিস ঝোলানো দরকার। সেটা না থাকায় বহু গ্রাহক বিষয়টি সম্পর্কে জানতেই পারছেন না।

এদিন খোসবাগানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অফিসে অনেকেই ভিড় করেন। বুকিং করা সত্ত্বেও রান্নার গ্যাস ডেলিভারি হচ্ছে না বলে প্রত্যেকের অভিযোগ। অফিসের কর্মীরা জানান, নির্দেশ মেনে বায়োমেট্রিক করানোর পরই গ্যাস ডেলিভারি হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...