
বহরমপুর: সোমবার মুর্শিদাবাদ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি সূতিতে একটি সভা করবেন। হিংসা কবলিত সামশেরগঞ্জের বেশকিছু এলাকাতেও তিনি যেতে পারেন। রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা ইতিমধ্যেই সূতি ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী
হাওড়ার ডুমুরজোলা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে এসে বহরমপুরের ব্যারাক
স্কয়ার ময়দানে নামবেন। সেখানে ইতিমধ্যেই একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি
করা হয়েছে। হেলিপ্যাডে নেমেই উল্টো দিকেই সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করে
পরদিন হেলিকপ্টারে করে সামশেরগঞ্জে পৌঁছবেন। সেখানে জাফরাবাদ এলাকায় একটি
অস্থায়ী হেলিপ্যাড বানানো হয়েছে। সেখানে নেমে দুর্গত মানুষদের সঙ্গে দেখা
করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সূতিতে যাবেন
মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার ছাবঘাটি কেডি বিদ্যালয়ের মাঠে প্রশাসনিক সভা
করবেন। সভা সেরে ফের হেলিকপ্টারে করে বহরমপুরে ফিরবেন। তারপর সেখানে
রাত্রিযাপন করে পরদিন মুর্শিদাবাদ ছাড়বেন।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই সফরসূচি ঘিরে রীতিমতো সাজোসাজো রব প্রশাসনিক মহলে। ইতিমধ্যেই আধিকারিকদের সমস্ত ছুটি বাতিল হয়েছে।
যুদ্ধকালীন
তৎপরতায় ছাবঘাটি কেডি বিদ্যালয়ের মাঠে সভার প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তারা দুবেলা মাঠ পরিদর্শন করছেন।
কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে তা দেখার পাশাপাশি কোন জায়গা দিয়ে
মুখ্যমন্ত্রী ঢুকবেন, ভিআইপি গেট কোথা থেকে হবে এবং সাধারণ মানুষ ওই সভায়
কোথা থেকে ঢুকবেন সে সমস্ত ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। হিংসার ঘটনায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে
জেলাবাসী।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল থেকে চলা হিংসার ঘটনায় যে সমস্ত
পরিবার এবং ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের আর্থিকভাবে এবং
জিনিসপত্র দিয়ে সাহায্য করেছে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় শাসকদলের
জনপ্রতিনিধিরা। এবার মুখ্যমন্ত্রী এসে তাঁদের ফের সাহায্য করবেন। এর আগেও
সামশেরগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী এসে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
করেছিলেন। গত দু’বছর সেই অর্থেই ভাঙন রোধের কাজ করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভাঙন নিয়ে কোনও ঘোষণা করেন কিনা সেদিকেও
তাকিয়ে আছে সামশেররগঞ্জবাসী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন