দীঘায় ৬০ হাজার পুণ্যার্থীর ভিড়ে জমজমাট জগন্নাথদেবের ‘নব আলয়’ - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

দীঘায় ৬০ হাজার পুণ্যার্থীর ভিড়ে জমজমাট জগন্নাথদেবের ‘নব আলয়’

দীঘায় ৬০ হাজার পুণ্যার্থীর ভিড়ে জমজমাট জগন্নাথদেবের ‘নব আলয়’

 

তমলুক: অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথিতে দ্বারোদ্ঘাটনের পরই দীঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। দৈনিক ৫০-৬০হাজার পুণ্যার্থীর ভিড়ে জমজমাট জগন্নাথদেবের ‘নব আলয়’। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা এবং মন্দির চত্বরে শৃঙ্খলার উপর জোর দিতে সাতটি থানা থেকে ২২৫জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দীঘায় পাঠানো হয়। তারা পর্যায়ক্রমে জগন্নাথ মন্দিরে ডিউটি করবে। এছাড়া দীঘা জগন্নাথ ধাম ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দিলীপ চক্রবর্তীকে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি হলদিয়ার ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন। এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় সব থানার একজন করে অফিসার ও কর্মী দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে ডিউটি করছেন। তাঁদের ধাপে ধাপে নিজেদের থানায় ফেরানো হবে। শনিবার সাতটি থানা থেকে ২২৫জন সিভিক ভলান্টিয়ার দীঘা থানায় পৌঁছেছে।


জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনগর থানা থেকে ১৫জন, মারিশদা থানা থেকে ৪০জন, কাঁথি থানা থেকে ২০জন, এগরা থানার ৫০জন, ভূপতিনগর থানার ৪০জন, পটাশপুর থানার ৪০জন এবং খেজুরি থানা থেকে আরও ২০জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দীঘায় পাঠানো হয়েছে। ২মে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য ওই সাতটি থানার আইসি এবং ওসিকে এক জরুরি মেসেজ পাঠিয়ে ২২৫জন সিভিক ভলান্টিয়ারের নামের তালিকা রাতের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিস লাইনে কর্মরত রিজার্ভ অফিসারের কাছে ওই নামের তালিকা পৌঁছনোর পর শনিবার সকাল থেকেই তাদের পুলিসের গাড়িতে দীঘা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেক সিভিক ভলান্টিয়ারকে লাঠি, হেলমেট, বিছানা সঙ্গে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবারই তারা দীঘা থানায় পৌঁছে গিয়েছে। 


স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মাবকাশ শুরু হয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথিতে জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরই সেখানে পুণ্যার্থীদের স্রোত নেমেছে। বিশেষ করে বিকেলে ভিড় উপচে পড়ছে। আপাতত শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬নম্বর গেট দিয়ে পুণ্যার্থীদের ঢোকানো হচ্ছে। ৭নম্বর গেট দিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যাচ্ছেন। বেলা ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত প্রভুর দর্শন বন্ধ থাকছে। ওইসময় মন্দির চত্বরে ঘুরে বেড়ানো গেলেও মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পার্কিং এবং ভিড় দু’টোরই সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা। রাজ্য সরকার দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তায় নতুন ১০০জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করবে। সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। তবে, প্রতিদিন যেভাবে প্রভুর দর্শন পেতে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে তা সামাল দিতে এককালীন ২২৫জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাতটি থানা থেকে জরুরিভিত্তিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর দীঘার পর্যটকদের বেশিরভাগ সি-বিচ বরাবর বসে থাকেন। কিন্তু, এখন ছবিটা বদলে গিয়েছে। সন্ধ্যার পর দীঘার জগন্নাথ মন্দির যেন চন্দননগরের আলোয় প্রতিমুহূর্তে ধোয়া হয়ে যাচ্ছে। মন্দিরের সামনে মূল গেট সংলগ্ন পার্কের শোভা দেখতে ভিড় জমছে। ভিড় সামাল দিতে তিনটি শিফটে পুলিস কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা থাকছে। জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন হিডকোর অধিগ্রহণ করা বিল্ডিংয়ে দীঘা জগন্নাথধাম পুলিস ফাঁড়ি তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেই ফাঁড়িতে পুলিস অফিসার ও কর্মীদের পোস্টিং দেওয়া হবে। আ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...