
অমৃতসর: পহেলগাঁও হামলার বিরুদ্ধে ভারতের কড়া জবাব অপারেশন সিন্দুর। আর সেই বিশেষ অভিযানে সেনাদের দক্ষতাই প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা। যার ফলে গুঁড়িয়ে যায় একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। খতম হয় ১০০-এর বেশি জঙ্গি। সেনার সেই পরাক্রমে খুশি দেশবাসী। গর্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই গতকাল, সোমবারের পর আজ, মঙ্গলবারও সেনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। এদিন পাঞ্জাবের জলন্ধরের আদমপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে গিয়েই সেনাদের ধন্যবাদ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এই আদমপুর নিয়েই একাধিক দাবি করে আসছিল পাক সেনা। তাদের দাবি ছিল, এস-৪০০ ও মিগ ২৯ নাকি ধ্বংস করে দিয়েছেন তারা। এমনকী পাক সেনা দাবি করে, তাদের হামলায় জলন্ধরের আদমপুরের বায়ুসেনার ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি যে মিথ্যাচার ছিল তা প্রমাণ করতেই আজ, মঙ্গলবার আদমপুরের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে যান মোদি। সেখানে গিয়েই বায়ুসেনাদের মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি পাকিস্তান ও জঙ্গিদের কড়া জবাবও দেন তিনি। এদিন, মোদির ভাষণের সময়ে পিছনেই দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল এস-৪০০ ও মিগ ২৯। পুরোটাই পাকিস্তানের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়ার জন্যই, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। গতকালের পর, আজ, মঙ্গলবারও মোদি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পরমাণু হামলার ব্ল্যাকমেল করে ভারতকে থামিয়ে রাখা যাবে না।
ফের হামলা চালালে প্রত্যাঘাত হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘এর পরও যদি কোনও জঙ্গি হামলা হয়, এর থেকে আরও বড় জবাব পাবে ওরা। ওদের শয়তানি, দুঃসাহসের উপযুক্ত জবাব দেওয়া গিয়েছে। আমরা ঘরে ঢুকে মারতে পারি, পাকিস্তানকে এই বার্তাই দিয়েছি। ভারতের দিকে নজর দেওয়ার একটাই পরিণাম, সেটা হল বিনাশ। আমাদের ড্রোন ও মিসাইল দেখে পাকিস্তানের ঘুম উড়েছে। ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে ভয় পেয়েছে পাকিস্তান। আমরা ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন