স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের লক্ষ্যপূরণে সফল রাজ্য, সেরা হুগলি জেলা - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের লক্ষ্যপূরণে সফল রাজ্য, সেরা হুগলি জেলা



কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে টাকা জমার নিরিখে বরাবরই প্রথম সারিতে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। গত অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের নিরিখে বাংলার স্থান কোথায়, তা এখনও প্রকাশ করেনি অর্থমন্ত্রক। তবে এরাজ্যের জেলায় জেলায় ডাকঘরে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে যে টাকা জমা পড়েছে, তাতে বৃদ্ধির নিরিখে এগিয়ে আছে হুগলি। এই জেলায় প্রকল্প বাবদ আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তার ১০৮ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে রাজ্য।

পিপিএফ, রেকারিং ডিপোজিট, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা বা মান্থলি ইনকাম স্কিমের মতো প্রকল্পগুলি চালিয়ে নিয়ে যায় অর্থমন্ত্রক। কমিশনের ভিত্তিতে সেই প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের সামনে হাজির করে ডাকঘর এবং ব্যাঙ্ক। তার বদলে তারা কমিশন পায়। অন্যদিকে প্রকল্পগুলিতে যাতে সাধারণ মানুষ টাকা রাখতে উৎসাহিত হন, তার জন্য রাজ্য সরকারও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। পশ্চিমবঙ্গে অর্থদপ্তরের আওতায় আছে স্বল্প সঞ্চয় বিভাগ, যেখানে প্রতিটি জেলায় আলাদা আলাদা অফিস রয়েছে। ডেপুটি ডিরেক্টরের অধীনে সেসব অফিস যেমন ডাকঘর এজেন্ট নিয়োগ করে, তেমনই প্রকল্পগুলির প্রচারও করে। 

রাজ্য অর্থদপ্তরের তথ্য বলছে, এরাজ্যের পোস্ট অফিসগুলি থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মোট ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। তার ৯৯ শতাংশ আদায় করা সম্ভব হয়েছে এবার। আদায়ের নিরিখে সবার আগে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত অর্থবর্ষে সেই জেলায় আদায় হয়েছে ২৭,৩৭৮ কোটি টাকা। আদায়ের নিরিখে সবচেয়ে পিছিয়ে মালদহ। সেখানে একবছরে আদায়ের অঙ্ক ২,৪৩৪ কোটি টাকা।

স্বল্প সঞ্চয় দপ্তরের তরফ থেকে এই প্রকল্পগুলির প্রচারে হরেক উদ্যোগ নেয় রাজ্য। সেই তালিকায় যেমন থাকে গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে প্রচার, তেমনই চলে ধারাবাহিকভাবে লিফলেট বিলি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েও প্রচার পর্ব চালায় দপ্তর। হুগলির স্বল্প সঞ্চয় দপ্তরের কর্তাদের কথায়, একবছর ধরে যেভাবে লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছে, তারই সুফল মিলেছে এবার। কর্মী ও অফিসাররা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছেন সরকারি প্রকল্পে টাকা রাখার সুফল। সেই ধারাবাহিক চেষ্টাতেই বৃদ্ধির নিরিখে রাজ্যের সেরা হতে পেরেছে হুগলি, দাবি করেছেন কর্তারা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...