
কলকাতা: বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নেই প্রায় এক বছর হতে চলল। গত বছর ৯ আগস্ট পাম এ্যাভেনিউর বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন বুদ্ধদেববাবু। রাজনীতি থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন প্রাসঙ্গিক। প্রয়ানের পরেও সেই প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। সদ্য সমাপ্ত ২০ এপ্রিলের ব্রিগেডেও বাম কর্মী-সমর্থকরা বুদ্ধদেববাবুর ছবি হাতে এসেছিলেন। রাজনীতিবিদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অনেকেই চেনেন। কিন্তু মানুষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কেমন ছিলেন? সেই কথা মাথায় রেখেই তাঁর পরিবার-পরিজনরা একটি ইউটিউব চ্যানেলের উদ্যোগ নিয়েছেন। ‘স্মরণে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য’ নামের ওই ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন মানুষের বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে। তাঁরা মূলত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অন্যদিক তুলে ধরছেন।
আগামী দিনে কি এই চ্যানেল ডিজিটাল আর্কাইভ করার লক্ষ্য রয়েছে? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য বলছিলেন, ‘প্রথমে আমরা বাবার ছবি নিয়ে একটা ভিডিও করেছিলাম। তারপর বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে লেখক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, নাট্যকার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে তুলে ধরা হয়েছে। আসলে বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা পরিবারের লোকেরা মিলে একটি সভা করেছিলেন। সেখানে অনেকেই মানুষ বুদ্ধদেবকে নিয়ে কথা বলেছেন। আপাতত সেই বক্তব্যগুলোই চ্যানেলে তুলে ধরা হচ্ছে।’ আগামী দিনে এই চ্যানেলটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর সুচেতন। তিনি বলছিলেন, ‘এগিয়ে তো নিয়ে যেতেই হবে। তার চেষ্টা চলছে। তবে মূলত মানুষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়ানের পর কেটে গেল প্রথম বামেদের ব্রিগেড। বুদ্ধহীন একেবারেই ছিল না ব্রিগেড ময়দান। কর্মী-সমর্থকরা যেমন বুদ্ধদেববাবুর বিরাট কাটআউট নিয়ে এসেছিলেন। এই ব্রিগেডের ময়দান থেকেই বুদ্ধদেববাবু সাম্প্রদায়িক শক্তির উদ্দেশে ‘মাথা ভেঙে’ দেওয়ার দাওয়াই দিয়েছিলেন। ২০ এপ্রিলের ব্রিগেড থেকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য থেকেও সেই দাওয়াইয়ের কথাই উঠে আসে। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়ানের পর বাম গণসংগঠনগুলো একাধিক বই প্রকাশ করেছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন