
কলকাতা: মিউজিয়ামে সংরক্ষিত কয়েক দশক পুরনো কিছু নমুনার বিশ্লেষণে নেমেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তার জেরে রীতিমতো কুষ্ঠিবদল হল ট্রিশ্রু নামে বিরল একটি প্রাণীর। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার এই প্রাণীগুলি অনেকটা কাঠবেড়ালির মতো দেখতে। দীর্ঘদিন এগুলিকে একজাতের কাঠবেড়ালিই ভাবা হত। যদিও আসলে এটি স্ক্যান্ডেন্টিয়া গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। দেখা গিয়েছে, এই প্রাণীগুলির মধ্যে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য।
শ্রু নামে গিনিপিগ সদৃশ যে প্রাণী রয়েছে, তাদের অন্তর্ভুক্ত নয় ট্রিশ্রুরা। আর আগেই বলা হয়েছে, তারা কাঠবেড়ালিও নয়। নিকোবর ট্রিশ্রু ভৌগলিক কারণেই একেবারে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। তবে, এতদিন এই প্রজাতিটিকে দক্ষিণ এশীয় টিশ্রুদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ভাবা হত। এখন দেখা যাচ্ছে, সেটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের ট্রিশ্রু নিয়ে বিস্তারিত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন নামে একটি নামী আন্তর্জাতিক জার্নাল। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই প্রাণীগুলির সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া আবশ্যিক। তার জন্য এগুলির জিনগত বিশ্লেষণ করে প্রকৃত পরিচয় জানাও প্রয়োজন। সেকাজই করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অনেক লম্বা, আর্দ্র্য নাক, ছোট গোঁফ ইত্যাদি দেখে কাঠবেড়ালির থেকে খালি চোখে আলাদা করা যায় এই ট্রিশ্রুকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন