
কলকাতা: রান্নার গ্যাসের ভুর্তকির টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে নতুন করে রাজ্যজুড়ে সক্রিয় সাইবার দুষ্কৃতীরা! মূলত, কলকাতা, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগনার মতো কয়েকটি জেলাতে এমন ফোন আসছে এলপিজির গ্রাহকদের মোবাইলে। তবে সিংহভাগ ফোন পেয়েছেন এইচপি গ্রাহকদের মোবাইলে।
উত্তর কলকাতার বাসিন্দা সুবীর ঘোষের অভিযোগ, ‘দিন তিনেক আগের কথা। সন্ধ্যায় হঠাৎ মোবাইলে একটা ফোন আসে। ট্রু-কলারে মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠল ‘এইচপি’র লোগো সহ গ্যাস অফিস’ কথাটি। ফোন ধরতেই ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা বলেন, ‘গ্যাসের অফিস থেকে বলছি। আপনার গ্যাসের ভুর্তকির টাকা তো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকার মতো আটকে আছে দেখছি! ’ এরপর গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে ফোন করা ব্যক্তি এলপিজি গ্রাহকের নাম এবং তাঁর গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরের নামও বলছেন। তারপর আটকে থাকা টাকা ফেরানোর টোপ দিয়ে গ্রাহকের ফোনে ‘লিঙ্ক’ পাঠাচ্ছেন সাইবার দুষ্কৃতীরা।
কলকাতা পুলিসের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা বলছেন, ‘এই লিঙ্কে ক্লিক করলে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা ফাঁকা হয়ে যাবে!’ সৌভাগ্যক্রমে এখনও টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ আসেনি।’ সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করতে সাইবার দুষ্কৃতীরা এবার ট্রু-কলারের সাহায্য নিচ্ছে। তাই গ্রাহকদের মোবাইলে ফোন এলেই মোবাইলের স্ক্রিনে ‘এইচপি’র লোগো সহ গ্যাস অফিস’ কথাটি ভেসে আসছে। ফলে খুব সহজেই গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ওয়েস্টবেঙ্গল এইচপি ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় আগরওয়ালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের সচেতন করতে আমরা এসএমএস পাঠাতে শুরু করেছি। পাশাপাশি, গ্যাসের অফিসে গ্রাহক সচেতন করতে নোটিস দেওয়া হয়েছে।’ যাতে বলা হয়েছে, গ্যাসের ভুর্তকির টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অফিস থেকে ফোন করা হয় না।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন