
নয়াদিল্লি:
শক্তিশালী করা হল জাতীয় নিরাপত্তা বোর্ডকে। সম্পূর্ণ নতুন করে সাজিয়ে
সেনা এবং গোয়েন্দা বাহিনীর প্রাক্তন দুঁদে কর্তাদের আনা হল নিরাপত্তা
বোর্ডে। নব কাঠামোর বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন ‘র’ প্রধান
অলোক যোশিকে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত
বিশ্বাসভাজন আধিকারিক তিনি। অবসরের পর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসরি
বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে তাঁর এই নিযুক্তি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাতজন নতুন
সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন এয়ার কমান্ডার (ওয়েস্টার্ন) এয়ার মার্শাল
পি এম সিনহা, অবসরপ্রাপ্ত সাদার্ন আর্মি কমান্ডার এ কে সিং, অবসরপ্রাপ্ত
রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না। সামরিক বিভাগের তিন বাহিনীর এই তিন
অবসরপ্রাপ্ত অফিসার সর্বোচ্চ স্তরে কাজ করেছেন। দুই আইপিএস অফিসার ও
ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের এক আধিকারিককেও যুক্ত করা হয়েছে টিমে। তাঁদের
প্রত্যেকেই অবসরপ্রাপ্ত।
জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা
হয়েছিল এই বোর্ড। কিছু বছর অন্তর বদলে যান সদস্যরা। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরই
যে রদবদল করে পূর্ণাঙ্গ কাঠামো বদলে দেওয়া হল, তাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ
বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এবার সম্পূর্ণ পেশাদার এবং সদ্য ভারতের
বিভিন্ন সিকিউরিটি ও সামরিক শাখার উচ্চপদে আসীন ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত
করা হয়েছে। যাঁরা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের পাশাপাশি
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও সরাসরি রিপোর্ট করবেন। এই বোর্ডের দায়িত্ব, দেশের
নিরাপত্তা এবং সামরিক পরিস্থিতি তথা বিপদ ও প্রস্তুতি সম্পর্কে বিশ্লেষণ
করা। সেইমতো রিপোর্ট তৈরি করে সরকারকে জানানো। পাশাপাশি, সামরিক ও
গোয়েন্দা বাহিনীতে নিজেদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্ক দেশের সুরক্ষা
পরিকাঠামোয় কাজে লাগাবেন তাঁরা। এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে ন্যাশনাল
সিকিউরিটি কাউন্সিলের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করা হল।
পহেলগাঁওয়ে
হামলার পর ভারত কখন প্রত্যাঘাত করবে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই
সিকিউরিটি অ্যাডভাইসরি বোর্ডের কাঠামো ঢেলে সাজানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ
বলে মত তথ্যাভিজ্ঞ মহলের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন