
রামপুরহাট: যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে বর্ধমান-তিনপাহাড় মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করে ৪০ মিনিট এগিয়ে নিয়ে এনেছে পূর্ব রেল। গত রবিবার থেকে সকাল সাতটার পরিবর্তে ৬টা বেজে ২০ মিনিটে বর্ধমান স্টেশন থেকে ছেড়ে আসছে ট্রেনটি। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। চিরাচরিত ভাবেই নিয়মিত বিলম্বে চলছে ট্রেনটি। উল্টে নিত্যযাত্রীদের হয়রানি বেড়েছে। অযথা যাত্রীদের এক ঘণ্টা পূর্বে স্টেশনে আসতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বর্ধমান
থেকে রামপুরহাট আসার প্রথম ট্রেন বলতে তিনপাহাড় লোকাল। যেটা সকাল সাতটার
সময় বর্ধমান ছাড়ত। ট্রেনটি রামপুরহাট জংশনে ঢোকার সময় সকাল প্রায় সাড়ে
নটা। কিন্তু কোনওদিনই নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনটি রামপুরহাটে প্রবেশ করত না।
যথারীতি অন্যান্য স্টেশনে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতে ঢুকত ট্রেনটি। এই
ট্রেনে চড়ে বর্ধমান, বোলপুর থেকে রামপুরহাট, মুরারই, নলহাটি যাতায়াত করেন
অনেক নিত্যযাত্রী। কিন্তু তিনপাহাড় লোকালে এসে তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে
হাজির হতে পারছিলেন না। ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে চলাচলের পাশাপাশি তাঁদের
দাবি, করোনা কালে বন্ধ বর্ধমান মালদা টাউন প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু করতে
হবে।
অবশেষে গত রবিবার থেকে রেল বর্ধমান-তিনপাহাড় মেমুর সময়সূচি এগিয়ে
আসে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ। রবিবার প্রথম দিনই ট্রেনটি
প্রায় এক ঘণ্টা ৪৪ মিনিট বিলম্বে চলাচল করেছে। সোম ও মঙ্গলবার রামপুরহাট
জংশনে নির্দিষ্ট সময় সকাল ৮টা ৩২ মিনিটের পরিবর্তে ৯টা ১৪ ও ১৬ মিনিটে
প্রবেশ করে। অনুরূপভাবে মুরারইয়ে ৯টা ৫ মিনিটের পরিবর্তে প্রায় দশটার সময়
আসে।
রাজগ্রামের বাসিন্দা নিত্যযাত্রী অচিন্ত্য ঘোষ বলেন, তিনপাহাড়
লোকালের সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হলেও লাভ কিছু হচ্ছে না। নিত্যদিন সেই বিলম্বে
চলার ধারা বজায় রেখে চলছে ট্রেনটি। অযথা ট্রেনটি ধরতে একঘণ্টা আগে স্টেশনে
আসতে হচ্ছে। যাত্রীদের বোকা বানাচ্ছে রেল। আসলে এই রুটে হাওড়া-নিউ
জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের আগে কোনও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর ইচ্ছে নেই।
তাই আমাদের দাবি, আগের মতোই সকাল ৫টা ২০তে বর্ধমান-মালদা টাউন
প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি পুনরায় চালু করা হোক। সেই সঙ্গে তিনপাহাড় লোকালকে
বর্ধমান থেকে ৭টা ২০ মিনিটে ছাড়া হোক। তাহলে বন্দে ভারত পাশ করার ঝামেলা
থাকবে না। এতে সাধারণ যাত্রীদের সুবিধাই হবে।
আলি আসগর নামে এক যাত্রী
বলেন, চালাকি করে তিনপাহাড় লোকালের সময় এগিয়ে নিয়ে এসে বর্ধমান– মালদা
টাউন ট্রেনটি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ঝেড়ে ফেলল পূর্ব রেল। যেমন জয়নগর
প্যাসেঞ্জার হাওড়া ছাড়ার সময় সকাল সাতটার পরিবর্তে বেলা ১১টার সময় করে
রাজগীর প্যাসেঞ্জার চিরতরে বন্ধ করে দিল। অবিলম্বে যাত্রীদের একযোগে এই
অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে সরব হওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন