
বেঙ্গালুরু: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বদলা চাইছে দেশ। জল, স্থল, আকাশে বাহিনীর তৎপরতা তুঙ্গে। এরইমধ্যে কর্ণাটকের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধের পক্ষে নন। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্কে তৈরি হয়েছে। তার রেশ না কাটতেই সিদ্ধারামাইয়া মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রী আর বি তিম্মাপুরের মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আবগারিমন্ত্রী জানান, ‘কেউ গুলি করতে এসে কী ধর্ম বা সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করে? এসে গুলি করে চলে যাবে। বাস্তবসম্মতভাবে চিন্তা করুন। হামলাকারী কোনওভাবেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সকলের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালাবে না।’ এমনকী পহেলগাঁও ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাচ্ছেন তিনি। কর্ণাটকে কংগ্রেস মন্ত্রিসভার এই সদস্যের মতে, গোটা বিষয়টিতে ধর্মীয় রং লাগাতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
সিদ্ধারামাইয়া ও তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্যের
মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। দলের
মুখপাত্র সি আর কেশবম বলেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ইসলামি জঙ্গিরা পহেলগাঁতে
হামলা চালিয়েছে। তাতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের আকস্মিক মৃত্যুর
জেরে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের
মন্ত্রীর মন্তব্য ওই পরিবারগুলির আত্মমর্যাদায় আঘাত করেছে। গোটা দেশ আজ
শোকে আচ্ছন্ন। এরমধ্যেও সাম্প্রদায়িক দল কংগ্রেস ভোট-ব্যাঙ্ক রাজনীতির
জন্য তাদের আত্মা ও সচেতনতাকে বন্ধক রেখেছে।
সমালোচনার ঝড় ওঠায় নিজের
মন্তব্য নিয়ে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন সিদ্ধারামাইয়া। কর্ণাটকের
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি
লিখেছেন, যুদ্ধ নিয়ে আমার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রচুর বিতর্ক, আলোচনা
হয়েছে। সবই নেতিবাচক। আমি বলতে চেয়েছি, যুদ্ধ কখনই প্রথম ও একমাত্র বিকল্প
হতে পারে না। কোনও দেশের ক্ষেত্রে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া শেষ অস্ত্র হওয়া
উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন