
বারাসত: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর বাড়তি সতর্কতা বিএসএফে। শনিবার রাতে বাগদা সীমান্তের মধুপুরে ৫৯ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা পাহারা দিচ্ছিলেন। তাঁদের কড়া পদক্ষেপে মাদকের চোরাকারবারিরা বহু চেষ্টা করেও ফেনসিডিল পাচার করতে পারল না।
জওয়ানদের চোখে জোরালো টর্চের আলো ফেলেও তারা সফল হয়নি। তবে পাচারকারীদের আক্রমণের মুখে পড়ে গুলি চালালেন জওয়ানরা। তাতে নিহত হল এক বাংলাদেশি চোরাচালানকারী। অন্য কারবারিরা পালিয়ে যায় বাংলাদেশে। ঘটনাস্থল থেকে ১৭৫ বোতল ফেনসিডিল, দুই বোতল বিদেশি মদ, একটি টর্চ, তিনটি কাস্তে এবং একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাত একটার দিকে মধুপুরের সীমান্ত ফাঁড়িতে প্রহরায় ছিলেন জওয়ানরা। তখন এক জওয়ান সীমান্তের বেড়ার দু’পাশে ২০-২৫ জন সশস্ত্র চোরাকারবারির সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন। তারা বেড়ার উপর দিয়ে কিছু সন্দেহজনক বান্ডিল ছুঁড়ে ফেলছিল। তা নজরে আসতেই জওয়ান তাঁর সহকর্মীদের বিষয়টি জানান। এরপর তিনি একাই কারবারিদের দিকে এগিয়ে যান। তাঁকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে অপরাধীরা। তাঁকে আটকাতে চোখে একটি জোরালো টর্চলাইটের আলো ফেলা হয়। সেই সুযোগে কারবারিরা ফেন্সিংয়ের উপর দিয়ে ফেনসিডিলের প্যাকেট ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জওয়ান তাঁর ‘পিএজি’ থেকে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে শূন্যে। তাতে ভারতের দিকে পাচারকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়।
এদিকে, বিএসএফের নজরে আসে
বাংলাদেশি কারবারিদের একটি দল বেড়ার উপর দিয়ে এসে ফেনসিডিলের বান্ডিল
উদ্ধার করতে আসছে। বিএসএফ তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করে। তবে,
কারবারিরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে জওয়ানদের দিকে এগিয়ে আসে। একই
কায়দায় চোখে জোরালো টর্চলাইটের আলো ফেললে জওয়ানরা ফের এক রাউন্ড শূন্যে
গুলি চালায়। এরপর বাংলাদেশিরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে জওয়ানদের আক্রমণ
করে বলে দাবি বিএসএফের। সুরক্ষার স্বার্থে চোরাকারবারিদের দিকে এক রাউন্ড
গুলি চালালে নিহত হয় এক বাংলাদেশি পাচারকারী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন