
নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তদন্তভার হাতে নিয়েই সক্রিয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেদিনের ঘটনা পরম্পরা জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছেন আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে এক ভিডিওগ্রাফারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন ওই স্থানীয় ভিডিওগ্রাফার। গোটা ঘটনা তিনি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। এনআইএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিরা গুলি চালাতেই অন্যান্যদের মতো প্রাণভয়ে ছুটতে থাকেন ওই যুবকও। বুলেট থেকে বাঁচতে একটি গাছের আড়ালে চলে যান তিনি। সেখানে থেকে বৈসরণে জঙ্গি হানার ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর থেকে পাওয়া ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর আধিকারিকদের অনুমান, জঙ্গি সংগঠনের স্থানীয় ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কাররা সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করেছে। এছাড়া, অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাপ্রবাহের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করছে এনআইএ।
সূত্রের
খবর, পার্কের মধ্যে একটি ভাজাভুজির দোকানের আড়ালে লুকিয়ে ছিল দুই
বন্দুকবাজ। বেলা আড়াইটে নাগাদ তারা বেরিয়ে আসে। প্রথমে তারা পর্যটকদের ধর্ম
জানতে চায়। কয়েকজনকে কলমা পড়তেও বলে। তারপরই গুলি চালায় জঙ্গিরা।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, পর্যটকদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল
সন্ত্রাসবাদীরা। কিন্তু, তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে এনআইএ নিশ্চিত,
পরিকল্পনামাফিক প্রত্যেকের মাথায় গুলি করা হয়েছে। প্রথমে দুই জঙ্গি চারজন
পর্যটককে গুলি করে। তাতে অন্যান্যরা ভয়ে পালাতে শুরু করে। তখনই জিপলাইনের
পিছন থেকে আরও দুই জঙ্গি বেরিয়ে এসে গুলি চালায়।
জানা গিয়েছে,
পর্যটকদের দু’টি মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়েছে জঙ্গিরা। সেই সূত্রে তাদের অবস্থান
জানতে নম্বরগুলি ট্র্যাক করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, শেষ
খবর পাওয়া পর্যন্ত ফোনগুলি বন্ধ রয়েছে।
বুধবার থেকেই ঘটনাস্থলে ঘাঁটি
গেড়েছে এনআইএ। এজেন্সির আইজি, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা তদন্তের
তদারকি করছেন। ইতিমধ্যেই বৈসরণের প্রবেশ ও বাহির পথ খুঁটিয়ে দেখেছেন
তদন্তকারীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন