
নয়াদিল্লি: গতমাসে ভূমিকম্পে
বিধ্বস্ত হয়ে যায় মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিবেশী দেশের পাশে
দাঁড়াতে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারত। এরমধ্যে সেদেশে ত্রাণসমাগ্রী
পৌঁছতে গিয়ে জিপিএস বিভ্রাটের (স্পুফিং) শিকার হল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান।
এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা যায়। ব্যাকআপ সিস্টেম ব্যবহার করতে
বাধ্য হয় বায়ুসেনা। রবিবার সংবাদমাধ্যমে জিপিএস স্পুফিং নিয়ে খবর সামনে
আসে। আর সম্প্রতি এই নিয়ে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এই ধরনের
পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম আমাদের কর্মীরা। পরিকল্পনা মতো মিশনের সমস্ত
লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হয়েছে।’ মায়ানমারে ভূমিকম্পের পরই ত্রাণসামগ্রী ও সহায়তা
পৌঁছতে ‘অপারেশন ব্রহ্ম’ হাতে নেয় ভারত। সেই মিশনে মোট ছ’টি বিমান শামিল
হয়। তাতে ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি ছিল ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির সরঞ্জাম এবং
উদ্ধারকারী দল। এরমধ্যে ২৯-৩০ মার্চ পাঁচটি যুদ্ধবিমান অবতরণ করে রাজধানী
নেপি দ-তে। বাকি বিমানটি ১ এপ্রিল অবতরণ করে মান্দালয়ে। রবিবার এক সূত্র
উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায় ২৯ মার্চ মায়ানমারের আকাশে বায়ুসেনার
সি-১৩০জে বিমানটি জিপিএস স্পুফিংয়ের শিকার হয়। বিমানের চালক জানান, জিপিএস
ব্যবস্থা বিকৃত করা হয়েছে। তিনি ভালো সিগন্যাল পাচ্ছেন না।
বিমান
চালানোর ক্ষেত্রে চালকরা কোন অবস্থানে রয়েছেন, জানার জন্য জিপিএসের উপর
নির্ভর করেন। আর জিপিএস স্পুফিং হল এক ধরণের সাইবার আক্রমণ। এই আক্রমণে
ভুয়ো জিপিএস সিগন্যাল তৈরি করে হ্যাকাররা। ভুয়ো সিগন্যালের ফলে নেভিগেশন
সরঞ্জামগুলি বিভ্রান্ত হয়। এরফলে বিমানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি
হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন