
কলকাতা ও বারাকপুর: একই এপিক নম্বরে দুই ব্যক্তির ভোটার কার্ড রয়েছে— যা সামনে নিয়ে আসে তৃণমূল। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য-প্রমাণ হাজির করে তা দেখিয়ে দেন। তারপর থেকেই নির্বাচন কমিশনের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটেই ভোটার তালিকায় স্ক্রুটিনি পর্বকে বৃহত্তর পরিসরে নিয়ে গেল রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যব্যাপী কর্মসূচিতে নেমেছে তৃণমূল শিবির। বুথ লেভেল এজেন্ট-২’র প্রতিনিধিরা মানুষের দুয়ারে গিয়ে সরেজমিনে দেখছেন ভোটার তালিকায় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সমস্যা আছে কি না। খোঁজা হচ্ছে ভূতুড়ে ভোটার। দিদির দূত অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। ৮০ হাজার বুথে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা তৃণমূলের। কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই শুক্রবার তৃণমূলের দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমাদের রাজ্যে ভুয়ো ভোটারের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হোক। আমাদের দলের কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে প্রায় এক লক্ষ তৃণমূল কর্মী এই কাজ করছেন। আগামী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত তা চলবে। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি যে পন্থাই নিক না কেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের উপরই আস্থা রাখেন এবং আগামী দিনও রাখবেন। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধর্মীয় বিভেদের ইস্যু তৈরির অপচেষ্টা করছে বিজেপি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন