
নয়াদিল্লি: ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আভাস পাওয়া যাচ্ছিল গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে ইডির হঠাৎ সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট ওয়াধেরাকে তিনদিন ধরে জেরা চলছে ইডি সদর দপ্তরে। মনে করা হচ্ছিল, কংগ্রেসকে বিরোধী জোটের বাকি আঞ্চলিক দলগুলির থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই তৎপরতা দেখাচ্ছে। কিন্তু জানা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া জোটের সব দলের বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি আবার নতুন করে তদন্তে নামছে। এবার অস্ত্র বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থ। ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেটেড আইনের ফাঁসে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। সিবিআই ইতিমধ্যেই এই মর্মে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করছে। আপের পাঞ্জাব ইউনিটে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। আপ দিয়ে শুরু হলেও, অন্য বিরোধী দলের বিরুদ্ধেও এই একই অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক
মহলের অনুমান, আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির নানা মামলা বিরোধী নেতা
নেত্রীদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযান
চালিয়ে হাই ভোল্টেজের প্রচার চললেও কেন্দ্রীয় দুই এজেন্সি কিছুই সেভাবে
প্রমাণ করতে পারছে না। চার্জশিট সামান্য জমা হলেও সেখানে তার সপক্ষে
নথিপত্র দেখাতে পারেনি। এর জন্য সুপ্রিম কোর্টের ধমক খেতে হয়েছে। গত এক
বছরে দিল্লি, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তামিলনাড়ুর
বিরোধী নেতাদের বেশিরভাগই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এবার তাই মুখরক্ষায় নতুন
অস্ত্র নিয়ে নামতে চলেছে সিবিআই। দলগতভাবে তদন্ত শুরু হবে। ২০২০ সালে ফরেন
কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন আইনের সংশোধন করে আইন পাশ করে সরকার। বিরোধীরা সেই
বিলের প্রবল বিরোধিতা করেছিল। যদিও সেই বিল পাশ হয়ে যায়। এবার ওই আইনের
মাধ্যমেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে কারা সন্দেহজনক অর্থ বিদেশ থেকে পেয়েছে,
সেই তদন্তে নামছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন