
নকশালবাড়ি: ‘প্রাণে
বেঁচেছি, এবার বিয়ের খাবারটা জুটবে’! বরাত জোরে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার পর
বাসচালককে ধন্যবাদের সুর যাত্রীদের। সেখান থেকে পুলিসের ঠিক করা বাসে
বিয়ের অনুষ্ঠানে রওনা হলেন যাত্রীরা।
শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে একটি যাত্রীবাহী বাস বিহারের গলগলিয়া থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা
হয়েছিল। খড়িবাড়ি ব্লকের পানিট্যাঙ্কির ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে সকাল ৯টা
নাগাদ উল্টোদিক থেকে আসা বিহারগামী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের
একপাশে ধাক্কা মারে। তারপর একটি টোটোয় ধাক্কা মেরে চায়ের দোকান গুঁড়িয়ে
দেয় লরিটি। এতেই ঘটে বিপত্তি। দুর্ঘটনায় বাসের তিনজন জখম হন। ক্ষতিগ্রস্ত
হয় টোটো, এবং একটি দোকানও। দুর্ঘটনার জন্য সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়।
যাত্রীবাহী বাসে চালক সহ ২৯ জন ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে বাসের চালক সহ দুই
যাত্রী সামান্য জখম হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিস তাঁদের উদ্ধার করে
স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর
যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আনন্দ অনুষ্ঠানে যাওয়ার মুখে এরকম ঘটনায়
কিছুক্ষণের জন্য দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরা। বাসের জখম যাত্রী সোমা
গিরি বলেন, বাসের চালক সুযোগ বুঝে বামদিক কাটিয়ে দেওয়ায় আমরা বড়
দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পেলাম। ওঁর বুদ্ধিমত্তার জন্য আজ সকলের প্রাণ রক্ষা
পেল। তবে কয়েকজন সামান্য জখম হয়েছি। যাইহোক, এবার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে পারব। অপর এক যাত্রী সুমন গিরি বলেন, শিলিগুড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান।
এদিন সকালে আমরা গলগলিয়া থেকে বাসে চেপে রওনা হয়েছিলাম। তবে এমনটা ঘটবে,
বুঝে উঠতে পারছি না। প্রাণে বেঁচেছি। এবার বিয়ের খাওয়াটা জুটবে।
এদিকে
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই এলাকার বাঁকে লরিটি দ্রুত গতিতে থাকায়
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা মারে। স্থানীয় বাসিন্দা মহেন্দ্র মহন্ত
বলেন, লরিটি দ্রুত গতিতে থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা পুলিসকে বলব, এই
রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে। ক্ষতিগ্রস্ত চায়ের দোকানের মালিক
দয়াল রায় বলেন, খুচরো নিতে রাস্তার ওপারের দোকানে গিয়েছিলাম। দোকানে কেউ
ছিল না। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচেছি। তবে দোকানটা ভেঙে গেল। অনেক ক্ষতি
হয়ে গেল। এই রাস্তায় বড় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। না হলে ফের একই রকম
দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন