মুম্বই: আদালতের নির্দেশে বড় স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ। প্রতারণার মামলায় এখনই এফআইআর রুজু করা যাবে না তাঁর বিরুদ্ধে। শেয়ার বাজারে প্রতারণা এবং নিয়ম ভাঙার অভিযোগে মাধবী এবং আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজুর নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ দুর্নীতি বিরোধী ব্যুরো আদালত। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় বম্বে হাইকোর্টে। সোমবার হাইকোর্ট মুম্বইয়ের দুর্নীতি বিরোধী ব্যুরোকে নির্দেশ দিয়েছে, নিম্ন আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
সেবির চেয়ারপার্সন থাকাকালীন শেয়ার বাজারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ ছিল, মাধবী সেবির দায়িত্বে থাকাকালীন শেয়ার বাজারে ব্যাপক আর্থিক কারচুপি, বেনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। শনিবার এই মামলার শুনানিতে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত জানায়, কারচুপি যে হয়েছে তার প্রাথমিক প্রমাণ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। ফলে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। মাধবী-সহ আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের ও আদালতের নজরদারিতেই এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের পাল্টা সেদিনই উচ্চ আদালতে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিল সেবি।
সেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। যেখানে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী অমিত দেশাই জানান, নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে কোনও নোটিস না দিয়েই তদন্ত শুরু নির্দেশে দিয়েছে। ফলে এই নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়। সেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জানায়, মঙ্গলবার শোনা হবে এই মামলা। তার আগে মুম্বইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা নিম্ন আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না মাধবী ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন