বহরমপুর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে লোন উলফ অ্যাটাক বলেই ব্যাখ্যা দিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ব্রাত্য বসুর কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। অধীরবাবু বলেন, ব্রাত্য বসুকে নাট্যকার গুণীজন বলে ভাবতাম। এখন মনে হচ্ছে ব্রাত্য বসুকে ব্রাত্য করে দেওয়াই উচিত।
পাশ্বত্য দেশে হিংসা ছড়াতে বা আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করতে একা গাড়ি নিয়ে মানুষের ওপর দিয়ে চালানো ঘটনা বহু রয়েছে। এই ধরনের হিংস্র ঘটনাকে লোন উলফ অ্যাটাক বলা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে লোন উলফ অ্যাটাক বলেই বর্ণনা
দিলেন অধীর চৌধুরী। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির তলায় পড়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র গুরুতর জখম হয়েছেন। ওই ছাত্রের দৃষ্টি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ছাত্রের ওপর দিয়ে চালানো হয়েছে। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজে গাড়িতে বসেছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সারা রাজ্যে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এসএফআই।
অধীরবাবু বলেন, ‘যাদবপুরের ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। ব্রাত্য বসুকে সারা রাজ্যের মানুষ সাহিত্যিক, নাট্যকার হিসাবে জানেন। আমিও ওঁকে ভদ্রলোক হিসাবেই জানতাম। কিন্তু যাদবপুরে যা ঘটল তা নিন্দনীয়। একজন উজ্জ্বল ছাত্র আজ দৃষ্টি হারানোর মুখে। ব্রাত্যবাবুর যদি এতটুকু মানবিকতা থাকে তা হলে এই মুহূর্তে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। উনি নিজে ও জানতেন বিক্ষোভের মুখে যাচ্ছেন। মন্ত্রী নেতাদের উপর হামলা এটাই প্রথম নয়। আমিও বহুবার ক্ষোভের মুখে পড়েছি। গাড়িতে হামলা হয়েছে। তাই বলে গুলি চালিয়ে দিতেন। উনি পারলে গুলি চালিয়ে দিতেন। ছাত্র আন্দোলন তাদের অধিকার। না হলে তৃণমূল বলে দিক, এই রাজ্যে প্রতিবাদ করা যাবে না।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন