যাদবপুর: আচমকা সিপিআই (এম) জেলা দপ্তরে ঢুকে হুলুস্থতি চালাল তৃণমূল কংগ্রেস। বারুইপুরে সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা দপ্তরে তখন ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক রতন বাগচী সহ নেতৃবৃন্দ। সিপিআই (এম) নেতা এবং কর্মীরা তৃণমূলের এই বাহিনীকে বাধা দেন। দপ্তর ছেড়ে বেরিয়ে যায় তৃণমূল। তবে জেলা দপ্তরের একেবারে বাইরে সদর গেটে ঝুলিয়ে দেয় তালা। এই ঘটনায় সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা পুলিশকে বলেছি তালা ভেঙে দিতে। না হলে আমরাই তালা খুলে নেব’।
জেলা সম্পাদক মণ্ডলী সদস্য রতন বাগচী জানান, ‘সোমবার বৈঠক চলছিল। সম্পাদক মণ্ডলীর সভার পর সুজন চক্রবর্তী লাইব্রেরিতে ছিলেন। বাইরে হট্টগোল শোনা যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাও ছিলেন। সিপিআই (এম) দাবি তুলেছেন ছাত্ররা। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই। উল্টোদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্তার অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল। রাজ্যজুড়ে চলে প্রতিবাদ।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার বারুইপুর কলেজের টিএমসিপি-র সদস্যরা বারুইপুরে সিপিএমের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখ তে থাকেন। এরপর আচমকা সিপিএমের পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে যান। সুজন চক্রবর্তী-সহ সিপিএমের অন্য নেতারা তখন ওই পার্টি অফিসে বৈঠক করছিলেন। সিপিএমের পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকেন টিএমসিপি সমর্থকরা। সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে বচসাও বাধে তাঁদের। তবে এদিনের এই ঘটনায় সিপিআইএম নেতা ও কর্মীদের দাবি, বারুইপুরের তৃণমূল নেতা গৌতম দাস দাঁড়িয়ে থেকে এই ঘটনা ঘটান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন