বালুরঘাট: একই এপিক নম্বরে দু’জনের নাম। একজনের বাড়ি গুজরাটে। অন্যজনের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে। এদিন ভুয়ো ভোটারের বিষয়টি নজরে আসতেই বালুরঘাট পুরসভার অন্তর্গত ওই ভোটারের বাড়িতে যান পুরসভার চেয়ারম্যান।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ডালিয়া রায়। তাঁর এপিক নম্বর রয়েছে গুজরাটের আহমেদাবাদের ভবতোই প্রজাপতি নামে আরেক ব্যক্তির নাম। এদিন ‘ভুয়ো ভোটার’ সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্তে নেমে বিষয়টি নজরে আসে। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র।
তিনি বলেন, ‘একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম উঠে আসছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা প্রভৃতি রাজ্যের নাম। আমরা এই বিষয়ে বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্ক্রুটিনি কাজ শুরু করেছি। আজকে আমরা স্ক্রুটিনি করার সময় জানতে পারি ডালিয়া রায়, তাঁর বাবার নাম বীরেশ রায়। তাঁর এপিক নম্বর ও গুজরাটের একজন বাসিন্দার এপিক নম্বর একই। এটা এক ধরনের সাইন্টিফিক রিগিং। দলনেত্রীর নির্দেশিকা কে মান্যতা দিয়ে আমরা এই স্ক্রুটিনি শুরু করেছি। সেখানেই এ বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা পুরো বিষয়টি স্ক্রুটিনি করে তার তালিকা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’
এ বিষয়ে ডালিয়া রায়ের বাবার বীরেশ্বর রায় জানান, ‘মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। তবে ভোটার কার্ড এখানেই রয়েছে। আজ দেখছি তাঁর নামে আরও একটি এপিক কার্ড অন্য জায়গায় কোনও এক ব্যক্তি ব্যবহার করছেন। বিষয়টি কিভাবে হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমার মেয়ে যাতে ভোট দিতে পারে সেটারও দাবি রাখছি।’
এ বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার জানান, ‘এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। তবে মূল বিষয় হল এটি দেখার দায়িত্ব জেলাশাসকের। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কয়েক মাস আগে অভিযোগ করেছিলেন গোটা পশ্চিমবঙ্গে কয়েক লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। কিছুদিন আগে আমরা এ সম্পর্কে একটি তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। তৃণমূল কংগ্রেস এ ধরনের ভুয়ো ভোটার তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। এবারে যাতে আর না করতে পারে সেজন্য বিজেপি সক্রিয়ভাবে পথে নেমেছে। আর সেখানে তৃণমূল ভয় পেয়ে আগে থেকেই এভাবে বদনাম করার চেষ্টা করছে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন