পুনের ধর্ষণকাণ্ডে অধরা অভিযুক্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন বাস্তাবায়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি

নয়াদিল্লি: পুনেতে মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহন নিগমের বাসে ২৬ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় এখনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পুণের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এ বার মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ভিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর মতে, শুধুমাত্র আইন করে এ সব ঘটনা বন্ধ করা যাবে না। মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনগুলি যাতে সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হয়, সে জন্য আইনের পাশাপাশি সমাজের কাছেও বড় দায়িত্ব থাকে বলে মনে করেন চন্দ্রচূড়।

মঙ্গলবার ভোরে পুণের সুগটি বাসস্ট্যান্ডে একটি ফাঁকা বাসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া পরীক্ষার মুখে পড়েছে পুণে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশের ১০টি দল তৈরি করে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে। অভিযুক্ত ধরা না-পড়ায় মনস্তাত্ত্বিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে পুলিশের ওপরেও। অভিযুক্তের খোঁজ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।

পুণের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ২০১২ সালে দিল্লির গণধর্ষণকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, ওই ঘটনার পর থেকে আইনে অনেক কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনাগুলি আটকানো সম্ভব হয়নি। নারী নির্যাতনের ঘটনা রুখতে সমাজের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি আইনগুলি যাতে সঠিক ভাবে কার্যকর হয়, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। চন্দ্রচূড়ের কথায়, ‘এ সব ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা এবং পুলিশের একটি বড় দায়িত্ব রয়েছে।’