কলকাতা: আরজি করকাণ্ডে সাজা ঘোষণার আমৃত্যু কারাদণ্ড শোনানো হয়েছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। এদিকে এই ঘটনায় এখনও থামেনি তদন্ত। ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে অভয়া-কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি। আর তার আগেই নিজেদের তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট শিয়ালদা আদালতে জমা দিলেন তদন্তকারীরা। আদালত সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তের সাজা ঘোষণার পর সিবিআই তাদের তদন্ত জারি রেখেছে কিনা সেই নিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন নিহতিতার বাবা-মা। এদিন, সেই আবেদনের ভিত্তিতেই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে তদন্তকারীরা। জানানো হয়েছে, তথ্য লোপাট মামলা নিয়ে নিজেদের তদন্ত এখনও জারি রেখেছে তারা। সঙ্গে এও জানানো গিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বারংবার উঠেছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ। সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্টে উঠে এসেছে সেই ষড়যন্ত্রের কথাই। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, আরজি করের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। যা নিয়ে খুব শীঘ্রই একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করতে চলেছে তারা, এমনটাই দাবি করা হয়েছে স্ট্যাটাস রিপোর্টে। এছাড়াও, তালা থানার প্রাক্তন ওসি ও সিআই রাজেন্দ্র সিংও আপাতত তাদের কাছেই রাখতে চায় বলে আদালতে জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্টে মাধ্যমে স্পষ্ট করেছে সিবিআই।
উল্লেখ, তদন্তকারীদের কাছ থেকে নিজের বাজেয়াপ্ত মোবাইল সিম ফেরত চেয়ে বারংবার আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন তালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তবে তা যে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়, এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে সিবিআই। তাদের যুক্তি, ওই সিম ফেরত দেওয়া হলে অনেক তথ্য প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তদন্তকারীদের এই যুক্তিতে মান্যতাও দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। আর আরজি করের এই ঘটনায় এখনও একাধিক বড় প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গিয়েছে। তা হল, ঘটনার আগে কাদের সঙ্গে ডিনার করেছিলেন চিকিৎসক তরুণী। পরদিন সকালে কেনই বা সেই অপরাধস্থলে ভিড় জমিয়েছিল আরজি কর কর্তৃপক্ষ। এমনকি, এই আরজি কর তথ্যপ্রমাণ লোপাট মামলায় স্থানীয় তালা থানার ওসি ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করেও বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে সেই মামলায় যথাযথ প্রমাণ না মেলায় জামিন পান তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন