এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে মিছিলে কুণাল, পুলিশের সঙ্গে বচসা - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫

এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে মিছিলে কুণাল, পুলিশের সঙ্গে বচসা

 



নিজস্ব প্রতিবেদন: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে ধর্মতলায় মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে। পুলিশ সেই মিছিল আটকাতেই বেঁধে যায় ধস্তাধস্তিও। এরপরই রাস্তায় বসে পড়েন কুণাল ঘোষ। বিক্ষোভ দেখতে থাকেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশের সঙ্গে বসায় জড়িয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, আন্দোলনকারীরা প্রত্যেকেই ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। তাঁরা আশা করেছিলেন, এদিন তাঁরা কোনও আশার আলো দেখতে পারবেন। এদিন তাঁরা ভেবেছিলেন কোনও রায় দিতে পারেন বিচারপতি। কিন্তু মামলার শুনানি পিছিয়ে যায় আরও। আগামী ২০ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি। এরপরই এতদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁরা হতাশ হয়ে আদালত থেকে সরাসরি চলে যান কুণাল ঘোষের দফতরে। এরপরই কুণালের নেতৃত্বে ধর্মতলায় দ্রুত বিচারের দাবিতে পথে নামেন। সেই মিছিল রানি রাসমণি রোডে পৌঁছতেই পুলিশ আটকে দেয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, তারপর রাস্তার মাঝে বসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সঙ্গে তাঁরা এই মামলার প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ দাবি করছেন।

এই প্রসঙ্গে এক আন্দোলনকারী বলেন, 'আমরা এসএলএসটি, শারীর শিক্ষক, কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা ২৬ মাস ধরে রেকমেন্ডেশন পাওয়ার পরও পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।'

এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, 'এঁদের প্যানেলটা পুরোই বৈধ প্যানেল। এখানে কোনও দুর্নীতি নেই। সিবিআইও নেই। রাজ্য সরকার নিয়োগ দিয়েছে। মোট ১২৮০ জন, তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে, অর্থাৎ ১২৭৯ জন। প্রত্যেকে যোগ্য। বেআইনি সেট করিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য নিয়োগ আটকে রেখেছেন।' হাইকোর্টের এক বিচারপতির নাম করেও কুণাল বলেন, 'ওই বিচারপতি তারিখের পর তারিখ দিয়ে যাচ্ছেন। কখনও বলছেন রাজ্য সরকার হলফনামা দিক, তা দেওয়া হচ্ছে, কখনও এদিকে গিয়েছেন, তিনি গিয়েছেন। কিছু না কিছু নিয়োগ আটকে রেখেছেন। আমি গত ও বছরের ও বেশি সময় ধরে ওঁদের সঙ্গে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আদালতে হেনস্থা হতে হচ্ছে। প্রচুর টাকা যাচ্ছে। অবিলম্বে প্রধান বিচারপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। এত লম্বা লম্বা তারিখ দিয়ে হেনস্থা করা চলবে না।' প্রসঙ্গত, এর আগেও ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে দেখা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিরা কুণালের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছেন।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...