কলকাতা: সিবিআই-এর দেওয়া তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। কারণ, ওই চার্জশিটের তিন জায়গায় লেখা রয়েছে ‘জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ নাম। তবে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে, তাঁর পদ কী, তাঁর ঠিকানা কী, কোনও কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসু বিবৃতি দিয়েছেন এই প্রসঙ্গে। যার বয়ানে ওই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে, সেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে শুক্রবার কোর্টে তোলার সময় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।
আদালত সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন আদালতে তোলা হয় সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে। এদিন সাংবাদিকরা সেই সময় তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘চার্জশিটে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আছে, তিনি কে? কার নাম বলছেন?’ প্রশ্ন শুনে কোনও উত্তর না দিয়েই গাড়িতে উঠে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ। সিবিআই-এর দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে নিয়োগ-কাণ্ডে অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-কুন্তল ঘোষদের বৈঠক হয়। সেখানে কথোপকথনের রেকর্ডিং করা হয়। সেই রেকর্ডিং হাতে আসে সিবিআই-এর। তারপরেই এই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, রেকর্ডিংয়ে শোনা যাচ্ছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলছেন, ‘জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক বেআইনি নিয়োগের জন্য ১৫ কোটি টাকা চেয়েছেন। কিন্তু সুজয় সেই টাকা তুলতে পারছেন না।’ এই চার্জশিট সামনে আসার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখপাত্র মন্তব্য থেকে বলেন, ‘সিবিআই একটা ২৬ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাতে দু’জায়গায় আমার নাম লিখেছে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে, এমএলএ না এমপি কোথায় থাকে, কার ছেলে, কী করে, কিছুই লেখেনি। বিজেপি যেমন ভাববাচ্য কথা বলে, তেমন সিবিআইও ভাববাচ্য কথা বলেছে। আসলে সিবিআই ভয় পেয়েছে বলেই পরিচয় উল্লেখ করেনি, এমনটাই দাবি অভিষেকের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন