কলকাতা: গঙ্গা জল বন্টনের তিরিশ বছরের মেয়াদের চুক্তি শেষ হবার আগেই ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশের ৭ সদস্যের কারিগরি প্রকোশলীর দল সোমবার কলকাতায় আসেন। সঙ্গেই হাওড়া-জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস ফরাক্কা এসে পৌঁছয় দলটি। সঙ্গেই নিউ ফরাক্কা স্টেশনে তাদের স্বাগত জানান স্থানীয় প্রশাসনের অধিকারিকেরাও। স্টেশন থেকে তাদের সিআইএসএফ ও স্থানীয় পুলিশের ঘেরাটোপে অতিথি নিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিনের ওই সফরে মঙ্গলবার তাঁরা ফরাক্কায় গঙ্গা নদীর সন্নিহিত এলাকা পরিদর্শন করবে।
ফরাক্কায় গঙ্গা নদীতে জল স্তর, জলের প্রবাহ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ৫ই মার্চ ফরাক্কা থেকে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যরা কলকাতায় ফিরে যাবেন।
পরের দুই দিন ৬ এবং ৭ মার্চ কলকাতার এক তারা হোটেলে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেবেন তারা। ৭ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেআরসিবির সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ (৩৩ শতাংশ) গঙ্গার জলের উপর নির্ভরশীল। মূলত বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে এই জলের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার জলবন্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছরের। আগামী বছর ২০২৬ সালে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ৩০ বছরের সামগ্রিক চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মে মাস- এই শুখা মরশুমে নদীতে ৭৫ হাজার কিউসেকের বেশি জল থাকলে ভারত পাবে ৪০ হাজার কিউসেক, অবশিষ্ট জল পাবে বাংলাদেশ। নদীতে ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক থাকলে বাংলাদেশ পাবে ৩৫ হাজার কিউসেক, অবশিষ্ট জল পাবে ভারত। আবার ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম থাকলে তা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যেই সমান ভাগে ভাগ হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন