নিজস্ব প্রতিনিধি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছিল আগের ম্যাচেই। শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিন আফ্রিকার কাছে কার্যত আত্মসমর্পন করল ইংল্যান্ড। সাত উইকেট হেরে বিদায় নিল তারা। অধিনায়ক হিসাবে শেষ ম্যাচেও দলকে জেতাতে পারলেন না জস বাটলার। গ্রুপের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠল দক্ষিন আফ্রিকা। তিন ম্যাচে তাদের ছয় পয়েন্ট হল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট।
সাদা বলের ক্রিকেটে এক সময় ক্রিকেটে বিশ্বের ত্রাস ছিল ইংল্যান্ড। ২০১৬ বিশ্বকাপ থেকে তাদের আগ্রাসী ক্রিকেট নজর কেড়ে নিয়েছিল গোটা বিশ্বের। ২০২৫-এর এক দিনের বিশ্বকাপের পর ২০২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা। সেই সাদা বলের ক্রিকেটে লজ্জার অধ্যায় লিখল ইংল্যান্ড। জস বাটলারের দলের তারকা ক্রিকেটার অনেকে থাকলেও কেউই আসল সময়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না। হারের হ্যাটট্রিক করে বিদায় নিল ইংল্যান্ড। দক্ষিন আফ্রিকার সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ইনিংসের পরেই। করাচিতে টসে জিতে ইংল্যান্ডের আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায়। কোনও ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। প্রথম ওভারে দুটি চার মেরেও ফিরে যান ফিল সল্ট (৬)। তৃতীয় ওভারে ফেরেন জেমী স্মিথ (০)। এর পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। জো রুট (৩৭) সবচেয়ে বেশি রান করেন। বড় কোনও জুটি হলেও ম্যাচে কখনও দাঁত ফোটাতে পারেনি ইংল্যান্ড। রানের গতিও আহামরি ছিল না। মাত্র ৩৮.২ ওভারে ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মার্কো জ্যানসেন এবং ইয়ান মুল্ডার। দক্ষিন আফ্রিকারও শুরুটা ভাল হয়নি। শূন্য রানে ফেরেন ট্রিস্টান স্টাবস। ২৯ রান করেন রায়ান রিকেলটন। তবে দলকে জিতিয়ে দেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (অপরাজিত ৯২) এবং হেনরিখ ক্লাসেন (৪৬) জুটি। তৃতীয় উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েন। জিতেই উল্লাসে মাতেন তারা। দুই ব্যাটারই আত্নহত তাড়া হুড়ো করার রাস্তায় হাঁটেননি। ধীরেসুস্থে খেলে দলকে জয়ের রাস্তায় পৌঁছে দেন। ২৯তম ওভারে ক্লাসেন ফিরলেও দক্ষিন আফ্রিকাকে জিতিয়ে দেন ডেভিড মিলার (অপরাজিত ৭)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন