কলকাতা: সকলকে চমকে দিয়ে আচমকা দিল্লি রওনা দিয়েছিলেন মুকুল রায়৷ ১২ দিন পর ফেরলেন কলকাতায়৷ শনিবার দুপুরের বিমানে রাজ্যে ফেরেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক৷ বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে কি তাঁর সাক্ষাৎ করেছেন? না কি খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে? প্রশ্ন শুনে বিজেপি বিধায়ক সাফ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে সবার দেখা হয়েছে। কেউ আমাকে এড়িয়ে যাননি।’’ যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিল্লি থেকে ‘শূন্য হাতে’ই ফিরেছেন রায়সাহেব৷
এদিকে কলকাতায় ফিরে মুকুল জানান, তিনি কারওর চাপে দিল্লি যাননি। নিজের ইচ্ছেতে গিয়েছিলেন। প্রয়োজনে আবারও যাবেন। মুকুল প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “উনি বিজেপি’র বিধায়ক। কী করলেন তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।”
উল্লেখ্য, দিল্লিতে পৌঁছনোর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়েছিলেন মুকুল রায়। তিনি যে ফুল বদলের জন্যেই দিল্লিতে গিয়েছেন, সে কথাও স্পষ্ট করেন৷ কিন্তু সূত্রের খবর, এই তিন নেতা তো দূরস্ত, বিজেপির প্রথম সারির কোনও নেতার সঙ্গেই দেখা করতে পারেননি মুকুল৷ খালি হাতেই কলকাতায় ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তবে বিমানবন্দরে মুকুল ফের বলেন, ‘‘বিজেপিতেই আছি, প্রয়োজনে আবার দিল্লি যাব।’’
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতেন মুকুল। কিন্তু ফল প্রকাশের পরেই ২১ জুন পুত্র শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে ফেরেন। কিন্তু তার পর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে আর দেখা যায়নি৷ গত মার্চ মাসে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন৷ কিন্তু ১৭ এপ্রিল আচমকাই নিজের দুই অনুগামীকে নিয়ে দিল্লি উড়ে যান৷ তাঁর নামে খাতায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু৷ তিনি জানান, বাবার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই৷ তবে রাজধানীতে বসে ছেলের দাবি নস্যাৎ করে দেন রায়সাহেব৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন