কলকাতা: বৃষ্টির জেরে বেশ ক’দিন স্বস্তি পেয়েছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী৷ তবে আজ, অর্থাৎ শনিবার বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই বলেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস৷ পূর্বাভাস ছিল, রবিবার বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হবে৷ এদিকে, শনিবার সকাল থেকেই চড়া রোদে গলদঘর্ম অবস্থা। তবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ছবিটা পাল্টাতে চলেছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু রাজ্যে আর কত দিন চলবে স্বস্তির বৃষ্টি?
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছে, সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা৷ তার সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে অধিক মাত্রায় জলীয় বাষ্প মিশছে বায়ুমণ্ডলে। এই পরিস্থিতির জন্য আগামী বুধবার অর্থাৎ ৩ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সোমবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলাগুলিতেও। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বেশি মাত্রায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া৷
শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও৷
এদিকে মে মাসের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি৷ তবে মে মাসের ৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে৷ এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোচা’৷ এই প্রসঙ্গে অবশ্য সঞ্জীববাবু কোনও মন্তব্য করেননি৷
আবহাওয়া মডেলে বলা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার জন্য জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়াটা প্রয়োজন। বঙ্গোপসাগরে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে উপরের বায়ুচাপ কমবে। যা নিম্নচাপ সৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আরও অনুকূল পরিস্থিতি বঙ্গোপসাগরে ৭ থেকে ২১ মে’র মধ্যে তৈরি হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন