এই পুকুরে ডুব দিলেই মোটা হন শীর্ণকায়, রবিবার হলেই বাঁটুল গ্রামে হাজার মানুষের ভিড় - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩

এই পুকুরে ডুব দিলেই মোটা হন শীর্ণকায়, রবিবার হলেই বাঁটুল গ্রামে হাজার মানুষের ভিড়

 





কলকাতা: এ এক আজব গাঁ। নাম ‘বাঁটুল’৷  সেখানে রয়েছে এক রহস্যময় পুকুর৷ তার নাম ‘মোটা পুকুর’। মোটা হওয়ার মনস্কামনা নিয়ে সেই পুকুরে ভক্তি ভরে ডুব দিলেই কেল্লাফতে৷ শীর্ণকায় দেহ কুমড়োর মতো ফুলে ওঠে। তবে পুকুরে ডুব দিয়ে গা ফুলিয়ে চলে গেলে হবে না৷ ইচ্ছা পূর্ণ হওয়ার পর আস্ত একখানি কুমড়ো এনে বলি দিতে হবে ভক্তকে।

‘আশিতে আসিও না’ সিনেমার দৌলতে ‘নাগতাড়া’ গ্রামের সঙ্গে অধিকাংশ বাঙালিই পরিচিত৷ ভক্তদের বিশ্বাসের জোরেই সিনেমার নাগতাড়ার সঙ্গে বাস্তবের বাঁটুল গ্রামের গল্প কোথাও যেন মিলেমিশে একাকার৷ কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে, বাগনানে অবস্থিত এই বাঁটুল গ্রাম। এই গ্রামের মোটা পুকুর বেশ প্রসিদ্ধ। স্বাস্থ্য উদ্ধারের আশায় দূরদূরান্ত থেকে এই পুকুরে স্নান করতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। 


বলে রাখি, এই মোটা পুকুরের মহাত্ম্য এখানে লোকমুখে ফেরে৷  ভক্তদের এই পুকুরের কথা জিজ্ঞাসা করলে, তাঁদের উত্তর খানিকটা এমন- ‘এটি কোনও সাধারণ পুকুর নয়। এখানে ডুব দিলে রোগা মানুষ মোটা হয়ে যায়। এখানে স্নানের সময় এক মুঠো চাল পুঁটলি করে শোলায় বেঁধে ভাসিয়ে দিতে হয়। জলে চাল ফুলে ওঠে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো হয় ভক্তেরও। নানান ধরনের রোগবালাই থেকে মুক্তি পায়’৷ বাঁটুল গ্রামে রয়েছে একটি চণ্ডী মন্দির। তার ঠিক পাশেই রয়েছে দেবী চণ্ডীর পুকুর। এই পুকুরই লোকমুখে মোটা পুকুর নামে পরিচিত। স্বাস্থ্য উদ্ধারের আশায় এখানে প্রতি রবিবার বহু ভক্ত ভিড় জমান। কোনও রবিবার পূর্ণিমা পড়লে তো কথাই নেই। এই পুকুরে নাকি অলৌকিক শক্তি রয়েছে৷ তাই তো এর জলে   ডুব দিলে মহিলাদের রোগ সারে৷ সেই বিশ্বাস থেকেই শতাধিক পুরনো এই পুকুরে মেয়েদের ভিড়ই বেশি। 


মোটা পুকুরের মালিক সরকার পরিবার। সেই পরিবারের সদস্য তপন সরকারের কথায়, ‘এটা আমাদের পারিবারিক পুকুর। বংশপরম্পরায় আমরা এই পুকুরে স্নান করার রীতি দেখে আসছি। পুকুর পাড়ের পাকুড় গাছে প্রথমে তেল-হলুদ-সিঁদুর মাখিয়ে পুজো করা হয়। এর পর সেই তেল-হলুদ গায়ে মেখে মানুষ মোটা পুকুরে স্নান করেন।’ শুধু রোগ সারাতে বা ভগ্ন স্বাস্থ্য উদ্ধারেই নয়, অনেকে সন্তান কামনায় এবং চাকরি পাওয়ার আশাতেও নাকি এখানে ডুব দেন৷ 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...