নয়াদিল্লি: দিল্লি আদালতের নির্দেশে আপাতত তিহাড়েই ফিরতে হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে৷ আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন জানালেও, আপাতত তার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে তেমনটাই জানালেন ইডির আইনজীবী। সোমবার ছিল অনুব্রত মণ্ডলের আবেদনের শুনানি৷ এদিন ইডির আইনজীবী নীতেশ রানা বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের জন্য দিল্লিতেই ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলুন।’
তিহাড় থেকে তাঁকে আসানসোল জেলে ফেরত পাঠানো হোক, দিল্লির আদালতে এই আবেদন নিয়ে গিয়ছিলেন কেষ্ট৷ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, তাঁকে যে কারণে ইডি দিল্লি নিয়ে এসেছিল তা সম্পূর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় অফিসাররা তাঁকে প্রয়োজনীয় জেরা করেছেন৷ তাঁকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছে দু’মাস হতে চলল৷। অর্থাৎ তাঁর নামে চার্জশিট দেওয়ার সময়সীমাও প্রায় শেষ। তাছাড়া আসানসোল আদালত ও কলকাতা হাই কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা ঝুলে রয়েছে। সেই মামলাগুলিতে সশরীরে হাজিরা দিতে চান তিনি। আদালতে এই কারণ দর্শান কেষ্ট৷
কিন্তু, সোমবার অনুব্রতর আবেদনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, গরুপাচারকাণ্ডে ধৃতরা সকলেই তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তাছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য-সূত্র উঠে আসছে। যার ভিত্তিতে পরেও অনুব্রতকে জেরা করার প্রয়োজন পড়তে পারে। এর পরই অনুব্রতকে উদ্দেশ্য করে ইডির আইনজীবী বলেন, আগামী কয়েক বছরের জন্য দিল্লিতেই ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলুন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ৪ মে পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক রঘুবীর সিং।
এদিকে, গরুপাচার মামলায় তিহাড় জেলেই রয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল৷ এদিন মেয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি৷ আদালতে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায়।’’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন