রামপুরহাট: দেবদেবীর ছবির পর এবার দুধের ক্যান। শনিবার রাতে দু’টি দুধের ক্যানে ভরে গাঁজা পাচার করার সময়ে এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল মাড়গ্রাম থানার পুলিস। উদ্ধার হয়েছে ২৬ কেজি গাঁজা। ধৃতের বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মনিরুল ইসলাম। রবিবার ধৃতকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক তার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেল হেফাজত মঞ্জুর করেন।
পুলিস জানিয়েছে, শনিবার রাতে মাড়গ্রামের কালীদহ ব্রিজের উপরে তল্লাশি অভিযান চলছিল। তখন মধ্যরাত। একটি বাইকের দু’ ধারে দুধের ক্যানে বেঁধে দ্রুতগতিতে আসছিল ধৃত পাচারকারী। সাধারণতঃ ভোরের দিকে এভাবেই ব্যবসায়ীরা দুধ নিয়ে যায়। কিন্তু সময়টা মধ্যরাত হওয়ায় পুলিসের সন্দেহ হয়। তাঁরা বাইকটিকে দাঁড় করায়। তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায় ক্যান দু’টিতে দুধের বদলে গাঁজা ভরে পাচার করা হচ্ছিল। এরপরই পুলিস ওই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি লাভপুর থানার হাতিয়া গ্রামে। বাজেয়াপ্ত করা হয় তার বাইক। পুলিস জানিয়েছে, দু’টি ক্যান মিলিয়ে ২৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পেরেছে, মাড়গ্রাম হয়ে রামপুরহাটে পাচার করা হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। এই কারবারে যুক্ত বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে শিলিগুড়ি থেকে সিউড়িগামী সরকারি বাসে পাপোশের বান্ডিলের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় ৫০ কেজি গাঁজা। গ্রেপ্তার করা হয় নকশালবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা সৌরভ দাস ও বগটুই গ্রামের ইসমাইল মহম্মদ নামে দুই যুবককে। তারপর ২০ জুন পিকআপ ভ্যানে ফলের ট্রে-র আড়ালে শিলিগুড়ি থেকে রামপুরহাটে পাচার হচ্ছিল গাঁজা। পিকভ্যানটি থেকে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধারের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের লালবাগের সঞ্জয় হালদার, বিহারের ভোজপুরের বাসিন্দা টিঙ্কু সিং ও রামপুরহাটের মীর মোশারফ ওরফে মিলন নামে এক ডিলারকেও গ্রেপ্তার করে। গত শনিবারও দেবদেবীর ছবির আড়ালে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে রামপুরহাটে গ্রেপ্তার হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজন। তাদের মধ্যে একজন অসমের বাসিন্দা।
মাদক বিরোধী অভিযান ও কারবারিদের ধরপাকড়ের পরও মাদক পাচার থামছে না। দুষ্কৃতীরা নিত্যনতুন কৌশল নিচ্ছে মাদক পাচারের। যদিও পুলিস জানিয়েছে, পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে লাগাতার অভিযান চলছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সমাজের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সকলের সহযোগিতা ছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। গাঁজা বাজেয়াপ্ত করছে পুলিস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন