কলকাতা: ওড়িশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় একাধিক প্রশ্নের জবাব চায় কলকাতা হাইকোর্ট। ওইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগসহ অবিলম্বে ওড়িশার মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বহু পরিযায়ী শ্রমিক পড়শি রাজ্যে আটকে রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।
বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চায়, কেন এবং কীসের ভিত্তিতে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে? আটক করার পরে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ হয়েছে বা কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে কি না তাও জানতে চায় আদালত। পাশাপাশি এখন তাঁরা কোথায় রয়েছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতিরা। নোডাল অফিসার মারফত ওড়িশার মুখ্যসচিবকে আদালতের সমস্ত প্রশ্ন পাঠিয়ে উত্তর তলব করেছে বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অন্তত ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি। এছাড়াও দিল্লিতে বীরভূমের পাইকরের ছ’জন শ্রমিককে আটক করার অভিযোগেও মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে এদিন রাঁচিতে ছিল পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠক। সেখানে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। বিমানবন্দরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মুখ্যসচিবের। সেখানেই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলার মানুষকে হেনস্তার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন