নয়াদিল্লি: ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের সবথেকে কালো অধ্যায়’। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ১২৩তম পর্বে ‘জরুরি অবস্থা’র প্রসঙ্গে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এব্যাপারে ফের নাম না করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। মোদি বলেন, ‘যাঁরা জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তাঁরা শুধু গণতন্ত্রকে হত্যা করেননি। সঙ্গে বিচার ব্যবস্থাকেও হাতের পুতুলে পরিণত করেছিলেন।’
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এবছর ‘ইমার্জেন্সি’র ৫০ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিনের অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থা নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই, অটলবিহারী বাজপেয়ির অডিও বার্তা শোনানো হয়। একইসঙ্গে যাঁরা ‘ইমার্জেন্সি’র বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদেরও স্মরণ করেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘সেই সময় যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তাঁদের মনে রাখতে হবে। এই লড়াই সংবিধান নিয়ে মানুষকে সজাগ থাকতে সাহায্য করবে।’
ভারতকে ট্রাকোমা মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। জীবাণুবাহিত এই চোখের রোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতকে ট্রাকোমা মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে।’ ট্রাকোমার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কথাও উল্লেখ করেন মোদি। বলেন, ‘এবছরও ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অংশগ্রহণ করেছিলেন কয়েক কোটি মানুষ। বিশাখাপত্তনমের সৈকতে ৩ লক্ষ মানুষ একসঙ্গে যোগাভ্যাস করেন।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন