ওয়াশিংটন: ভারতের সঙ্গে ‘বড়’ মাপের বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার একথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং। দীর্ঘদিন ধরেই এই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর কষাকষি চলছিল। শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে, ট্রাম্পের ঘোষণায় সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। হোয়াইট হাউসে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা অসাধারণ কিছু চুক্তি করছি। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে বেশ বড় মাপের একটি চুক্তিও হতে চলেছে।’ সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সেরেছে আমেরিকা। যদিও সেই চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি ট্রাম্প।
এবার ভারতের সঙ্গে চুক্তিও প্রায় চূড়ান্ত বলে দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরেই মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হল কংগ্রেস। হাত শিবিরের কটাক্ষ, দেখে মনে হচ্ছে, ভারতের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হোয়াইট হাউসের থেকেই জানতে পারছেন দেশবাসী। বাণিজ্য চুক্তির প্রসঙ্গে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশই আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সকলেই চুক্তি করতে চায়। মনে করে দেখুন, কয়েক মাস আগে সংবাদমাধ্যম বলছিল, আদৌ কি কোনও দেশ বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী? গতকালই আমরা চীনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি। যে কোনও দেশ চাইলেই আমরা তাদের সঙ্গে চুক্তি করব না। তাদের কয়েকজনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে, অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু আপনাদের ২৫, ৩৫, ৪৫ শতাংশ কর দিতে হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবারই বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে পৌঁছেছে। তাঁদের বৈঠকের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরেই মোদি সরকারকে কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর কথায়, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর এবার ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি হতে চলেছে। এখন ভারত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হোয়াইট হাউস থেকে জানতে পারছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন