কলকাতা: পরবর্তী বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বাছাই প্রক্রিয়া খানিক গতি পেল। প্রায় ১১ মাস আগে বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদ শেষ হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আর একবছরও বাকি নেই। স্বভাবতই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের প্রধান সেনাপতি বাছাইয়ে গেরুয়া শিবিরের এই গা-ছাড়া ভাব ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই আবহে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন কিংবা মনোনয়ন করতে কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে বিশেষ ইলেকশন অফিসার নিয়োগ করা হয়। সম্প্রতি এই পদে দলীয় এমপি রবিশঙ্কর প্রসাদকে নিয়োগ করেছে দিল্লি।
সূত্রের দাবি, ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদারকেই আরও একদফায় রেখে দেওয়া হতে পারে। কারণ, এত কম সময়ে নতুন সভাপতির সংগঠন গোছাতে গোছাতেই ভোট মিটে যাবে। সেক্ষেত্রে পুরনো মুখ সুকান্ততেই ভরসা রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি সংবিধানস অনুযায়ী, রাজ্য সভাপতি হিসেবে তিনবছর করে পরপর দু’দফায় মোট ছ’বছর থাকা যায়। সুকান্ত মজুমদারের দুই পূর্বসরি দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা এভাবেই রাজ্য ইউনিটের প্রধান পদে ছিলেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি পদে দ্বিতীয় কোনও মনোনয়ন জমা পড়বে না। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মসৃণভাবে বালুরঘাটের এমপি দ্বিতীয় দফায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে বসবেন। একইভাবে রবিশঙ্কর প্রসাদ জাতীয় পরিষদ সদস্য বাছাই প্রক্রিয়া সারবেন। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র থেকে একজন করে মোট ৪২ ব্যক্তিত্বকে পার্টির এই জাতীয় স্তরের কমিটির সদস্য করা হয়। এক্ষেত্রেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক প্রভাশালী নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যা মনোভাব, ২০২৬ সালে পরিবর্তনের আশা অত্যন্ত কম। মোদি সরকারের ‘এক দেশ, এক ভোট’ স্বপ্ন ২০২৯ সালে সফল হলে ফের নির্বাচন হতে পারে বাংলায়। সেইসময় বিজেপি-তৃণমূলের কড়া টক্কর হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন