সিস্ট নানা কারণে হয়। জন্মগত কারণেও হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, কোনও সংক্রমণজনিত কারণ, কোনও চোট-আঘাত, কোনও পোকামাকড়ের কামড়, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদিও এর জন্য দায়ী হতে পারে। এমনকী, গালে কামড় খেয়েও সিস্ট হয়। সত্যি বলতে কী, এর কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। সিস্ট শরীরের যে কোনও জায়গায় হতে পারে। কোনও কোনও সিস্টে উপসর্গ থাকে, কোথাও বা কোনও উপসর্গ থাকে না।
সিস্ট মানেই কি সার্জারি?
অনেকে ভাবেন, সিস্টে একমাত্র অস্ত্রোপচারই চিকিৎসা। আদতে কিন্তু তা নয়। বরং বেশিরভাগ নিরুপদ্রব সিস্টের কোনও চিকিৎসার প্রয়োজনই পড়ে না। তারা রোগীর কোনও ক্ষতিও করে না। কোনও কোনও সিস্ট আবার শুধু জীবনযাত্রার পরিবর্তন করেই সরিয়ে তোলা সম্ভব। যেমন ওভারির সিস্ট।
এপিডার্মাল সিস্ট বা ত্বকের সিস্ট মূলত সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ক্রিমের মতো তরল ঘন হয়ে গ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয় বলে হয়। দেখা দেয় ব্রণ বা অ্যাকনে।
ব্রণর উপর চাপ দিলে অনেক সময় ভিতর থেকে ভাতের দানার মতো পদার্থ বেরয়। একে সিবেসিয়ান সিস্ট বলে।
শরীরের যেসব অংশে সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড আছে, সব জায়গায় এই সিস্ট হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কোনও চিকিৎসা সেভাবে প্রয়োজন হয় না। তেলমশলা কম খেলে, শরীরচর্চা করলে ও শরীরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে সিস্ট নিয়ন্ত্রণে থাকে। চর্ম বিশেষজ্ঞরাও কিছু অয়েন্টমেন্ট দিয়ে এই সিস্টের চিকিৎসা করেন। এছাড়া লিভার, কিডনি, ওভারি ও মস্তিষ্কেও একাধিক ছোট সিস্ট তৈরি হতে পারে। অস্থিসন্ধিতেও একধরনের সিস্ট হয়, ব্যান্ড পরিয়ে ওষুধ দিয়েই সেসব সারানো যায়।
কোনও সিস্টে সার্জারি প্রয়োজন কি না তা মূলত তিনটি শর্তের উপর নির্ভর করে। ১) সিস্টের আকার ২) অবস্থান ও সংখ্যা ৩) ব্যথা বেদনা বা অন্য অঙ্গের কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি না তার উপর।
কখন সার্জারি করতেই হবে?
• শরীরের বাইরে বা অভ্যন্তরে হওয়া কোনও বড় আকারের সিস্ট যদি অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে, রোগীর স্নায়ু ও অন্যান্য অঙ্গকে চেপে দেয় ও সিস্ট ফেটে তা থেকে নিঃসৃত তরল সংক্রমণ ঘটায় তাহলে সেই সিস্ট অপারেশন করাই উচিত। • সুগারের রোগী বা বহু কো-মর্বিডিটি আছে, এমন রোগীর আকারে বড় ও অবস্থানগতভাবে বিপজ্জনক কোনও সিস্ট অপারেশন করিয়ে নেওয়াই ভালো • শরীরের উপরে কোনও অংশে সিস্ট হলে তা অনেক সময় রোগীর রূপ ও চেহারায় প্রভাব ফেলে। তখনও অনেকে ল্যাপেরোস্কোপিক সার্জারির শরণ নিয়ে থাকেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন