এইভাবে হেঁটে দেখুন, হু হু করে ঝরবে মেদ - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

এইভাবে হেঁটে দেখুন, হু হু করে ঝরবে মেদ



আধুনিক জীবন গতিময়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে নিজের জন্য ফুরসত মেলে না। এদিকে শরীরচর্চার অভাবে মেদ জমতে থাকে শরীরে। তা থেকে হানা দেয় নানা অসুখবিসুখ। তাই সবচেয়ে সহজ ও ব্যয়বিহীন শরীরচর্চা হাঁটাহাঁটিতে আস্থা রাখেন অনেকেই। কিন্তু হাঁটার নিয়ম না মানলে যে মেদ ঝরবে না! 

আর এখানেই ভুল করে বসেন বহু মানুষ। তাই দিনের পর দিন হাঁটলেও তাঁরা কাঙ্খিত ফল পান না।

কীভাবে হাঁটলে সবচেয়ে বেশি উপকার? বেশ কিছু টিপস দিলেন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ওবেসিটি স্পেশালিস্ট প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। 

১) নিয়ম করে একটানা ৪০ মিনিট হাঁটুন। অনেকেই বাড়ির ছাদে, সামনের রাস্তায় সময় পেলেই পায়চারি করেন। এতে শরীর সচল থাকে ঠিকই। কিন্তু মেদ ঝরার কাজের কাজ হয় না। মেদ ঝরাতে গেলে ভরসা রাখুন ব্রিস্ক ওয়েকিংয়ে। তবে হার্টের রোগী, স্ট্রোক হয়েছে এমন ব্যক্তি বা দুর্ঘটনা থেকে সবে সেরে উঠেছেন, শরীর দূর্বল রয়েছে এমন ব্যক্তিরা ব্রিস্ক ওয়েকিংয়ের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। হার্টের রোগী ও স্ট্রোকের রোগীরা সাধারণ গতিতে হাঁটার উপরেই ভরসা রাখুন। 

 ব্রিস্ক ওয়াকিং: স্বাভাবিক নিয়ম ও গতিতে হাঁটা শুরু করুন। মিনিট ৫ এভাবে হাঁটার পর যে গতিতে হাঁটছেন, তার চেয়ে এক ধাপ গতি বাড়িয়ে দিন। এবার এই গতিতে বাকি ৩০ মিনিট হাঁটুন। আবার হাঁটা শেষ করার আগের ৫ মিনিট স্বাভাবিক গতিতে হাঁটুন। হাঁটার সঙ্গে হাতের আন্দোলন বজায় রাখুন। হনহন করে হাঁটতে হবে যাতে পর্যাপ্ত ঘাম হয়। 

২) একটানা রাস্তা ধরে হাঁটুন। ছাদ বা ছোট গলিতে বারবার পাক খাওয়া হাঁটার বিকল্প নয়। 

৩) বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতে বা পোষ্যকে নিয়ে বেরিয়ে হাঁটবেন না। পোষ্যকে ঘুরতে নিয়ে গেলে আলাদাভাবে বেরন। কিন্তু নিজের হাঁটার সময় পোষ্যদের নিয়ে বেরলে গতির হেরফের হবে, ওদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে ফলে হাঁটার মনঃসংযোগ নষ্ট হবে। 

৩) হাঁটার সময় কোনও স্ট্রেস মাথায় আনবেন না। কাজের চাপ, কাল কী কী কর্মসূচি আছে, আজ কী কী সারতে হবে, ছেলেমেয়ের কেরিয়ার ভাবনা, আজ বাড়িতে কী কী বাজার করতে হবে এসব ভাবনাও বন্ধ। কোনও পার্ক বা উদ্যানে হাঁটলে কানে হেডফোন গুঁজে হালকা কোনও মিউজিক খুব লো ভলিউমে চালিয়ে হাঁটতে পারেন। ফাঁকা রাস্তায় হাঁটলেও হেডফোনে গান শুনতে শুনতে মন অন্যদিকে রাখতে পারেন। 

৪) হাঁটার সময় কোনও বন্ধু, পরিচিত বা আত্মীয়ের সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয় ও দাঁড়িয়ে একটু গল্প করে ফেলেন। তারপর দু'জন মিলে হাঁটেন,  এমন করলে মুশকিল। হাঁটার সময় দুনিয়ার আর কাউকে চিনি না এমন ভেবেই হাঁটতে হবে। দেখা হলে হাসি বিনিময় করে এগিয়ে যান। হাঁটা একটা যোগ। তাই হাঁটাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। 

৫) হাঁটার সময় পিঠে বা হাতে কোনও ভার বহন করবেন না। অনেকে পিঠে ব্যাগ নিয়ে হাঁটেন। এটা হাঁটার ঠিক নিয়ম নয়।

৬) হাঁটার সময় উপযুক্ত জুতো বা স্নিকার্স ব্যবহার করুন। ঠিক জুতো পরে না হাঁটলে কোমর ও পায়ে ব্যথা হবে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...