
নয়াদিল্লি: কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ১৭ তম দিন। পাণ্ডব সেনাকে ধ্বংস করতে সেদিন ভার্গবাস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন কর্ণ। পুরাণ মতে, ভৃগু ঋষি তৈরি করেছিলেন এই অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র। ভৃগু থেকেই নাম হয় ভার্গবাস্ত্র। পরে তা পরশুরামের কাছ থেকে পেয়েছিলেন কর্ণ। পুরাণের সেই প্রসঙ্গ টেনে সামনে এল ভারতীয় সেনার নয়া হাতিয়ার ‘ভার্গবাস্ত্র’। মূলত ড্রোন হামলা রুখতেই তৈরি করা হয়েছে এই ‘লো কস্ট কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম’। ৬-১০ কিলোমিটার দূর থেকে ছোটখাটো ড্রোনকে সনাক্ত করতে পারবে এটি। আর আড়াই কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে সেই ড্রোন ঢুকে পড়লে মুহূর্তেই তা ধ্বংস করে দেবে। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে প্রায়ই ড্রোন হামলার খবর সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভার্গবাস্ত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
ভার্গবাস্ত্র তৈরি করেছে নাগপুরের
সংস্থা সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড। মঙ্গলবার ওড়িশার
গোপালপুরে পরীক্ষামূলকভাবে এই মিসাইলটি উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রথম দুটি
ট্রায়ালে একটি করে রকেট ছোড়া হয়। আর শেষ ট্রায়ালে মাত্র দুই সেকেন্ডের
ব্যবধানে পরপর দু’টি রকেট ছোড়া হয়। প্রতিটি অস্ত্রই ড্রোন ধ্বংস করতে সফল।
এক্ষেত্রে ৫ হাজার মিটার উচ্চতাতেও এই কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম ব্যবহার করা
যাবে। তিনটি স্তরে কাজ করবে ভার্গবাস্ত্র। ডিটেকশন—এর অত্যাধুনিক রেডার ও
সেন্সর ৬-১০ কিলোমিটার দূর থেকে ছোটখাটো ড্রোন হামলা শনাক্ত করতে পারবে।
দ্বিতীয় স্তর—লক অ্যান্ড টার্গেট। একটি বা একাধিক ড্রোনকে টার্গেট করে
কাউন্টার অ্যাটাকের জন্য তৈরি হওয়া। নিউট্রালাইজেশন—রেঞ্জের মধ্যে ঢুকে
পড়লে আকাশেই ড্রোনগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন