
ভালো ঘুম সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। কিন্তু অনিদ্রা, কম ঘুম হওয়ার সমস্যা নিয়ে বহু মানুষই ভোগেন। বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের নানা সিনেমা ও সিরিজের হাতছানিতে অনেকেই রাতে জেগে থাকেন দীর্ঘক্ষণ। এতে ঘুমের রুটিন নষ্ট হয়। দিনের পর দিন এই রুটিনে অভ্যস্ত হতে হতে অনিদ্রা অসুখের শিকার হন অনেকেই। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, বয়ঃসন্ধিকাল থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার দিকে কিশোর-কিশোরীরা যত এগয়, ততই এই সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। অনিদ্রার নিয়মিত চিকিৎসায় যেসব ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়, তাতে মস্তিষ্কের স্নায়ু শান্ত হয়ে ঘুম আসে বটে, কিন্তু এইসব ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ বিনা ও খুব দরকার না হলে অনিদ্রার ওষুধ শুরু খুব একটা কাজের কথা নয়।
তার চেয়ে বরং ভালো ঘুম হওয়ার জন্য মেনে চলতে পারেন কিছু কৌশল। আর এন টেগোর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, ‘ভালো ঘুমের জন্য স্লিপ হাইজিন মেনে চলাও খুব জরুরি। কিছু নিয়ম মেনে চললে ঘুমের উন্নতি ঘটে।’ কৌশলও জানালেন চিকিৎসক।
* ঘুমানোর জন্য যে বিছানা ব্যবহার করছেন, তা যেন পরিচছন্ন হয়। ছোটদের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের নড়চড় হবে না।
* ঘুমের অন্তত একঘণ্টা আগে মোবাইল, ল্যাপটপ, টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখা যাবে না। বরং হাস্যরসাত্মক বই বা পছন্দের সামাজিক উপন্যাস পড়তে পারেন। অনেক এই সময় থ্রিলার জাতীয় বই পড়েন। থ্রিলার পড়ার সময় মস্তিষ্ক হঠাৎ অত্যধিক উত্তেজিত হয়। টানটান উত্তেজনা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। ফলে সেই ধরনের বই এড়িয়ে চলুন।
* বিকেলের পর থেকে কফি বা চা পান কোনওভাবেই উচিত নয়। চা-কফি দুটোই উত্তেজক পানীয়। তাই এই দুই পানীয় বিকেলের পর খাওয়া হলে তা উত্তেজনা বাড়ায়।
* নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। রোজ এক্সারসাইজ করলে শরীরে এন্ডোর্ফিন ক্ষরণ হয়, যা মন-মেজাজ ভালো রাখে ও স্ট্রেস রাখে দূরে। ফলে দ্রুত ঘুম আসে।
* নজর দিন খাবার পাতেও। মাত্রাতিরিক্ত
ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার ছেড়ে সহজপাচ্য সুষম খাদ্য খান। অনেকেরই সন্ধের পর
ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা থাকে। সন্ধের চা-কফি-ফাস্ট ফুড যত এড়াতে পারবেন,
ততই ঘুমের পক্ষে উপকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন