
তালাহাসি (ফ্লোরিডা): ফের
রক্তাক্ত মার্কিন মুলুকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার ফ্লোরিডা স্টেট
ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ গেল দু’জনের। জখম হয়েছেন আরও
পাঁচজন। হামলার পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
হামলাকারী পড়ুয়াকেও গুলি করেছে পুলিস। এদিনের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্র ইউনিয়নের কাছে আচমকাই গুলির আওয়াজ পান পড়ুয়ারা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই
কয়েকজন লুটিয়ে পড়েন। দেখা যায়, ২০ বছরের এক পড়ুয়া এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে।
ক্যাম্পাসজুড়ে তখন আতঙ্কের পরিবেশ। আতঙ্কিত পড়ুয়ারা এদিক-ওদিক লুকিয়ে
পড়েন। ততক্ষণে যুবকের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। খবর পেয়ে ১৫ মিনিটের
মধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস। গুলি করা হয় হামলাকারী পড়ুয়াকে। তাঁকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নিহতরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন বলে
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুলিস প্রধান জেসন ট্রাম্বর বলেন, হামলাকারী
পড়ুয়ার নাম ইকনার। সে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। তারা বাবা লিওন কাউন্টির
ডেপুটি শেরিফ। ওই পড়ুয়া তার মায়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক ব্যবহার করে গুলি
চালায়। তার থেকে বন্দুক ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। কেন সে গুলি চালিয়েছে,
তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইনকার প্রথমে একটি রাইফেল
দিয়ে গুলি চালায়। পরে সেটি ফেলে পিস্তল বের করে গুলি চালাতে থাকে। ঘটনার
সময় লাইব্রেরিতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যলেয়ের পড়ুয়া জে সিম্যান্স। তিনি বলেন,
আচমকাই ক্যাম্পাসে সাইরেন বেজে ওঠে। আমারা ভয়ে লুকিয়ে পড়ি। পরে পুলিস এসে
উদ্ধার করে। কমিউনিকেশনের ছাত্র রায়ান সিডারগ্রেন বলেন, ‘ইউনিয়নের কাছে
আচমকাই গুলির শব্দ পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আমরা অন্তত ৩০ জন পড়ুয়া ইউনিয়নের
নীচতলায় আশ্রয় নিয়েছিলাম।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন