কলকাতা: আরও উন্নত পরিবেশ ও আরও উন্নত যাত্রী পরিষেবা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সপ্তম ‘হেডকোয়ার্টার্স’ কনসালটেটিভ কমিটি (জেডআরইউসিসি)-র বৈঠক অনুষ্ঠিত করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। ‘জোনাল রেলওয়ে ইউজার্স’ কনসালটেটিভ কমিটি (জেডআরইউসিসি)-র এ বৈঠক অসম-এর গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, যা মুক্তভাবে পরিচালনা করেন চিটিংকিং এবং সচিব অনুরাগ আগরওয়াল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অলপাহাড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় ও মান্দাজ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নরেন কৃতি শক্তি, বিধায়ক খাজাঞ্চি কুম্ভি (অসম এর মরিয়ানি) ও ইআর তাপি দরং (অরুণাচল প্রদেশ এর পালিনঘাট পূর্ব) সহকার এর জন্য যোগাযোগ নতুন শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া যাচ্ছে এক সুন্দর অর্থনীতিকে বিভিন্ন পণ্য পৌঁছ-সহায়তা করবে। অন্যদিকে, অনুকূল বেশ কিছু নেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ শতাংশ সহ সরকারের অতিরিক্ত আধিকারিকগণ এবং উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের অন্যান্য সদস্যরা। এই বৈঠকের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল রেলওয়ে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং পরামর্শ নিয়ে রেলওয়েকে আরও উন্নত করা।
এই অঞ্চলটিতে রেলওয়ে রাজধানীগুলিকে পরিকাঠামো এবং পরিবেশের উন্নয়ন সম্পর্কিত ধারণা এবং পরামর্শ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন বিনিয়োগ করে। বৈঠকে সব সদস্যকে স্বাগত জানানোর পর উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব আহ্বান জানান, তাঁর যেন রেলওয়ের সংক্রান্ত পরিবেশগুলির প্রতিটি দিকে নিয়ে পরামর্শ প্রদান করেন এবং তিনি এই নিশ্চয়তা দেন যে সেই পরামর্শগুলিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা হবে। তিনি এ কথাও জানান যে, উত্তর-পূর্ব ‘টেকনিক্যালিফিকেশন’ হয়ে যাবে, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নগদবিহীন লেনদেনের সক্রিয় করার জন্য অন্য পোটা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের টিকিট কাউন্টারগুলিতে কিউআর কোড মেশিন বসানো এবং বিভিন্ন স্টেশনে ক্যাশলেস পরিষেবাকে উন্নত করা হয়েছে। জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এ কথাও সম্মানী জানিয়েছেন, ইন্ট্রিগেশন ডিটেকশন সিস্টেম সফল ভাবে বাস্তবায়িত করা হয়েছে। যা রেলওয়ে ট্র্যাকে ক্ষতির দুর্ঘটনা রোধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিগুল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, এই বৈঠকে আরও বেশ কিছু জরুরি বিষয় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়েছে। যেমন, লোকাল ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করা, স্টপেজ-এর সংখ্যা বাড়ানো, যাত্রী সুরক্ষা বৃদ্ধি করা, এবং স্টেশনগুলিতে ও চলতে ট্রেনগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা। আরও কয়েকটি জরুরি বিষয়ের মধ্যে ছিল নতুন রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ, নতুন আরইবিডি, আরওবি ও এফওবি নির্মাণ, সেই সঙ্গে এলসি গেট ইন্টারলকিং করা ও এলসি গেট অপসারণ।
ভারতীয় রেল বেশ কিছু কমিটি তৈরি করেছে। যেমন ‘ডিভিশনাল রেলওয়ে ইউজার্স’ কনসালটেটিভ কমিটি (ডিআরইউসিসি) ও ‘জোনাল রেলওয়ে ইউজার্স’ কনসালটেটিভ কমিটি (জেডআরইউসিসি)। এই কমিটিগুলি নিয়মিত ভাবে যাত্রী পরিষেবা, পরিচ্ছন্নতা, ক্যাটারিং, ও সমন্বয়পূর্ণতা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকের আহ্বান জানায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও তাদের আধিকারিকদের মধ্যে অনবরত মত বিনিময়ের ব্যবস্থা করে এই কমিটিগুলি। এই ভাবে রেলওয়ে পরিষেবা নিশ্চিত ভাবে আরো উন্নত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন