ওয়াশিংটন: বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য একদিকে যেমন বরফ গলছে, সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে তেমনই আরেকদিকে শহরে এক অন্য উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। তা হল, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে শহরে উদ্বেগজনক হারে ঘটছে ইঁদুরের বংশবৃদ্ধি। শহরে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। তাই তার প্রত্যক্ষ প্রভাবে জেরে শহরে বেশি পরিমাণে বংশবৃদ্ধি করছে গণেশ ঠাকুরের বাহন। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে এমনই চাঞ্চল্যকর গবেষণাপত্র বেরিয়েছে।
তাপমাত্রার পারদ বাড়ার সঙ্গে ইঁদুরের বংশবৃদ্ধির সম্পর্কের ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষকরা জানান, ইঁদুরের বংশবৃদ্ধির জন্য তাপমাত্রা বেশি হওয়া দরকার। গরম আবহাওয়া ছাড়া ইঁদুর বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। কারণ তাদের গর্ভাধানে বেশি সময় লাগে। একটা গর্ভাধানের চক্রে ইঁদুর ৬-১টি শাবকের জন্ম দেয়। এই চক্র চলে আজীবন। তাপমাত্রা বাড়লে শীতের ঠান্ডার সময় ইঁদুর ভালোভাবে বেঁচেবর্তে থাকতে পারে। শাবকদের জন্য খাবারের খোঁজ ভালোভাবে ব্যবস্থা করতে পারে। ঠান্ডার মধ্যে ইঁদুর সক্রিয় থাকে। কিন্তু তাপমাত্রা বেশি থাকলে অনেক প্রজাতির ইঁদুর গর্ভাধান করে। এতে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি আবর্জনা ভালোভাবে পরিষ্কার না হওয়ার কারণেও ঘটে ইঁদুরের বংশবৃদ্ধি। মানুষের পাশাপাশি নেটিভ ইঁদুর আর খেঁটে ইঁদুরই যেকোনো রকম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে। ইঁদুরের বংশবৃদ্ধির কারণে বাড়ছে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৪ সালেই এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রেকর্ড পরিমাণে গরম পড়েছিল। প্রি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলের চেয়ে ১.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেরিয়ে গেছে। তাই বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে, না হলে জীববৈচিত্র্যে অদূর ভবিষ্যতে সংকট নেমে আসবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন