নয়াদিল্লি: চলতি সপ্তাহে ভারতীয় মৌসুম বিভাগ (আইএমডি) মুম্বইসহ কয়েকটি এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছিল। ভরা বসন্তে তাপমাত্রার এই বাড়বাড়ন্তে আশ্চর্য হয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু, পরিবেশবিদেরা এমন দিন যে আসতে চলেছে, তার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন আগেই। এবার সেই সতর্কবাণীই ফলতে চলেছে। ভারতের বিভিন্ন শহরে মার্চ মাসের শুরু থেকেই গরম তার রেকর্ড ভাঙতে শুরু করে দেবে। আগে থেকেই তার সতর্কতা দিয়ে দিল আইএমডি। এবারের মার্চ মাস যে অনাবৃষ্টির তুলনায় অনেক বেশি গরম ও অস্থির হয়ে উঠবে, সেকথা বলাই যায়।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে খানিকটা হলেও শীতের আমেজ থাকে। মাঠের মাঝামাঝি পর্যন্ত হালকা শীতের মজা নিয়ে থাকেন সকলে। তবে এবার ছবিটা হবে একেবারে অন্যরকম। দিনের বেলা তাপমাত্রা যেরকম। দিনের বেলা তাপমাত্রা বেশি তো হবেই পাশাপাশি রাতের দিকেও তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই বেশি থাকবে।
আইএমডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রিতে চলে যাবে। আবার কয়েকটি রাজ্যে তাপমাত্রা হবে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এই সময় যেসব কৃষিজাত পণ্য চাষ করা হয় সেগুলি সরাসরি মার খাবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে মাঠের ফসল মাঠেই শুকিয়ে যাবে। ফলে সেই ফসল রপ্তানি করা অনেকটাই সমস্যার হবে।
বিগত বছর থেকেই তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই উপরের দিকে ছিল। এবার সেই তাপমাত্রা আরও বেশি হবে। ধান এবং গম চাষের ফলে সরাসরি প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমডি। উত্তর এবং মধ্য ভারতে এই সময় গম রপ্তানি প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। তবে হঠাৎ করে এই তাপমাত্রার বৃদ্ধিতে সেই প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে শীতের যে সবজিগুলি বাজারে কম দামে বিক্রি হয়ে থাকে, সেগুলি এবং অতিরিক্ত গরমে নষ্ট হয়ে যায়। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবজির দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। ফলে বিরাট সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।
এমনিতেই ফেব্রুয়ারি মাসে আগে থেকেই গরম পড়েছে। মার্চ মাস থেকে সেই গরমের মাত্রা বাড়বে। গম উৎপাদনের ওপরেও সরাসরি প্রভাব পড়বে। এরপর যত সময় যেতে থাকবে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। চলতি বছরে লা নিনা তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। ফলে শীত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এবার উল্টো দিক থেকে গরম হাওয়া গোটা দেশের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন